গফরগাঁওয়ে বিধবাকে পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক বিধবাকে পৈত্রিক বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে ভাইপোদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত উপজেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে।

জানা যায়, ডুবাইল গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বিনোয়ারা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্বামীর গত হয়েছেন আঠরো বছর। সেই থেকে বাবার ভিটায় পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। একটা সেলাই মেশিন সম্বল করে বাবার সহযোগিতায় জীবনযুদ্ধে নামেন বিনোয়ারা। ইতোমধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে আর এক মেয়ে পড়াশোনা করছে। বিনোয়ারা বেগম বলেন, আমার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে ভাইয়েরা নানা রকম অত্যাচার শুরু করেন। গত মঙ্গলবার সকালে বিনোয়ারা বেগমের দুই ভাই সিরাজুল হক ও এনামুল হক ছেলেদের দিয়ে বোনকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন,একমাত্র সম্বল মাটির ঘরটি ভাইপো মাসুদ রানা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ভেঙ্গে আমার সন্তানদেরসহ জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাড়িতে ফিরে এলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। এ ব্যাপারে চেয়রম্যানের কাছে বিচার চেয়ে পাইনি। এসব বিষয় নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলাও রয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন বিনোয়ারা বেগমের ভাই সিরাজুল হক ও মাসুদ রানা। বলেন, তাদের দাবি এই ভিটার মালিক এনামুল হক। বিনোয়ারা বেগম সম্পত্তির ১০-১২ শতাংশ ওয়ারিশ পাবেন। সেটি উনাকে পাশের জমিতে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাইথল ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারজ্জামান ঢালী বলেন, বিধবা বিনোয়ারা বেগম সন্তানদের নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। মানবিক কারণে তাকে বাবার ভিটায় বসবাসের বিষয়টি তার ভাইয়েরা মানছে না। এছাড়া মারধর ও ভয় ভীতির ঘটনা আমার জানা নাই।

এদিকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও মারধরের ঘটনায় বিনোয়ার বেগম ভাই ও ভাইপোদের বিরুদ্ধে বৃহষ্পতিবার দুপুরে পাগলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পাগলা থানরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে বিনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন। নির্যাতন ও জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ , ২২ আষাঢ় ১৪২৮ ২৪ জিলক্বদ ১৪৪২

গফরগাঁওয়ে বিধবাকে পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

প্রতিনিধি, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক বিধবাকে পৈত্রিক বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে ভাইপোদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত উপজেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে।

জানা যায়, ডুবাইল গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বিনোয়ারা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্বামীর গত হয়েছেন আঠরো বছর। সেই থেকে বাবার ভিটায় পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। একটা সেলাই মেশিন সম্বল করে বাবার সহযোগিতায় জীবনযুদ্ধে নামেন বিনোয়ারা। ইতোমধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে আর এক মেয়ে পড়াশোনা করছে। বিনোয়ারা বেগম বলেন, আমার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে ভাইয়েরা নানা রকম অত্যাচার শুরু করেন। গত মঙ্গলবার সকালে বিনোয়ারা বেগমের দুই ভাই সিরাজুল হক ও এনামুল হক ছেলেদের দিয়ে বোনকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন,একমাত্র সম্বল মাটির ঘরটি ভাইপো মাসুদ রানা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে ভেঙ্গে আমার সন্তানদেরসহ জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাড়িতে ফিরে এলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। এ ব্যাপারে চেয়রম্যানের কাছে বিচার চেয়ে পাইনি। এসব বিষয় নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলাও রয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন বিনোয়ারা বেগমের ভাই সিরাজুল হক ও মাসুদ রানা। বলেন, তাদের দাবি এই ভিটার মালিক এনামুল হক। বিনোয়ারা বেগম সম্পত্তির ১০-১২ শতাংশ ওয়ারিশ পাবেন। সেটি উনাকে পাশের জমিতে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাইথল ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারজ্জামান ঢালী বলেন, বিধবা বিনোয়ারা বেগম সন্তানদের নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। মানবিক কারণে তাকে বাবার ভিটায় বসবাসের বিষয়টি তার ভাইয়েরা মানছে না। এছাড়া মারধর ও ভয় ভীতির ঘটনা আমার জানা নাই।

এদিকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও মারধরের ঘটনায় বিনোয়ার বেগম ভাই ও ভাইপোদের বিরুদ্ধে বৃহষ্পতিবার দুপুরে পাগলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পাগলা থানরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে বিনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন। নির্যাতন ও জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।