মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবণ্টিত অর্থ জমা দেয়ার নির্দেশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে, সেই অর্থ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত কোম্পানি, সব কোম্পানির সম্পদ ব্যবস্থাপক, স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

এই বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের টাকা দ্রুত ফান্ডে জমা দেয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এই ফান্ডের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে। তাতে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।’

গত ৩০ জুন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করার পর ফান্ডটির নামে পুলিশদের কমিউনিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ পাঠাতে বলা হয়েছে। ফান্ডটিতে ২০ হাজার কোটি টাকার জমা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক কোম্পানির কাছে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন বছর বা তারও আগের বছরগুলোর পরে থাকা অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অবণ্টিত মুনাফা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে আনা হলেও যেকোন সময় কোন বিনিয়োগকারী তার প্রাপ্য লভ্যাংশ দাবি করতে পারবেন। যাচাই শেষে সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিনিয়োগকারীকে তার লভ্যাংশ ফেরত দেয়া হবে।

অবণ্টিত লভ্যাংশের অর্থ পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। এ তহবিল নগদ অর্থের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। মোট অর্থের ৫০ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্জিন ঋণ হিসেবে বিতরণের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে ঋণ দিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৮ ২৬ জিলক্বদ ১৪৪২

মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবণ্টিত অর্থ জমা দেয়ার নির্দেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে, সেই অর্থ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত কোম্পানি, সব কোম্পানির সম্পদ ব্যবস্থাপক, স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

এই বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের টাকা দ্রুত ফান্ডে জমা দেয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এই ফান্ডের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে। তাতে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।’

গত ৩০ জুন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করার পর ফান্ডটির নামে পুলিশদের কমিউনিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ পাঠাতে বলা হয়েছে। ফান্ডটিতে ২০ হাজার কোটি টাকার জমা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক কোম্পানির কাছে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন বছর বা তারও আগের বছরগুলোর পরে থাকা অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অবণ্টিত মুনাফা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক হিসাবে আনা হলেও যেকোন সময় কোন বিনিয়োগকারী তার প্রাপ্য লভ্যাংশ দাবি করতে পারবেন। যাচাই শেষে সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিনিয়োগকারীকে তার লভ্যাংশ ফেরত দেয়া হবে।

অবণ্টিত লভ্যাংশের অর্থ পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। এ তহবিল নগদ অর্থের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। মোট অর্থের ৫০ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্জিন ঋণ হিসেবে বিতরণের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে ঋণ দিতে পারবে।