বাগাতিপাড়ায় ৪ মাস ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দী এক্সরে মেশিন

৫ বছর ধরে এক্সে সেবাবঞ্চিত রোগীরা

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাসপাতালটিতে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। রোগীরা ইসিজি সেবা পান না। গাইনী রোগীদের জন্য অপারেশন কার্যক্রম (ওটি) হয় না। ফলে হাসপাতালটি নিজেই রোগে ভারাক্রান্ত। তাছাড়াও এক্সরে মেশিন বিকল হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫ বছর ধরে এক্সরে সেবা বঞ্চিত রোগীরা। তবে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক এক্সরে মেশিন ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলেও দীর্ঘদিন যাবত ক্রয়কৃত এক্সরে মেশিনটি প্যাকেটবন্দী হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে রয়েছে। এতে একদিকে যেমন সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা, অন্যদিকে প্যাকেটবন্দী হয়ে এভাবে পড়ে থাকায় আধুনিক যন্ত্রটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, অবকাঠামোগত সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আধুনিক এক্সরে মেশিনটি বসানো যাচ্ছে না। তাছাড়া হাসপাতালটির বেড সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রশ্বস্তকরণ এবং সংস্কার কাজ চলমান থাকায় অবকাঠামোগত সমস্যায় প্যাকেটজাত অবস্থায় এক্সরে মেশিনটি করিডোরে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে হাসপাতালের ব্যবহৃত এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে এক্সরে করতে হয়। রোগীর সেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০১৮ সালে ইউএনও বরাবর তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার ও জাইকার সহযোগিতায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক এক্সরে মেশিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা টেন্ডার দেয়া হয়। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি কার্যাদেশ পান নাটোরের ঠিকাদার মীর হাবিবুল ইসলাম। পরে এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি নতুন আধুনিক এক্সরে মেশিন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা গত ৬ মার্চ গ্রহণ করে। এরপর থেকেই প্যাকেট বন্দী হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় টয়লেটের সামনে পড়ে রয়েছে মূল্যবান এই যন্ত্রটি।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ৬ জনের পদায়ন রয়েছে। পদায়ন থাকলেও দুইজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন যাবত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ইয়াসের আরাফাত ২০১২ সালের ১৮ মার্চ থেকে ৯ বছরের অধিক সময় এবং মেডিকেল অফিসার মোফাজ্জল শরিফ ২০১৪ সালের ২১ জুলাই থেকে ৭ বছর ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান আছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দুটি পদে কাউকে নিয়োগ প্রদান করা যাচ্ছে না। এনেসথেশিয়া পদ দীর্ঘকাল যাবত শূন্য রয়েছে। শিশু, চক্ষু এবং অর্থপেডিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ নাই। এছাড়াও স্বাস্থ্য সহকারীর ১৭টি পদে কর্মরত আছেন ১২ জন। অফিস সহকারীর একটি পদ ও পরিসংখ্যানবিদের পদটি শূন্য আছে। টেকনিশিয়ানের একটি পদ শূন্য আছে। এছাড়া আসবাবপত্র ও বিভিন্ন বিভাগে যন্ত্রপাতির সঙ্কটও রয়েছে। দুটি ইসিজি মেশিন থাকলেও তা দিয়ে তেমন কোন কাজ হয় না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম না থাকায় রোগীদেরকে অন্য হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে সেবা নিতে হয়। তাছাড়া গাইনি বিশেষজ্ঞ পদ থাকলেও এ সংক্রান্ত কোন ওটি (অপারেশন কার্যক্রম) হয় না। এছাড়া কিছু রোগের পরীক্ষা করা হলেও জটিল রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা হয় না। এদিকে উপজেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগী বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত এ উপজেলায় ২৯৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জন এবং ১৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত অনুযায়ী বেড সংখ্যা অপ্রতুল। তবে অক্সিজেন সুবিধা রয়েছে। ওষুধের স্বল্পতা না থাকলেও ওষুধ রাখার স্থানের স্বল্পতা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করায় তার সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের কাজ চলছে। সে কারণে প্যাকেটজাত অবস্থায় নতুন এক্সরে মেশিনটি হাসপাতালের ভেতরে করিডোরে রাখা হয়েছে। এক্সরে কক্ষটিতে নতুন মেশিনটি বসানো উপযোগী করার জন্য সংস্কার কাজ চলছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই কক্ষে স্থাপন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখন সে অনুযায়ী জনবল পাওয়া যায়নি। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ৫টি বেড থেকে বাড়িয়ে ১৪টি বেড বর্তমানে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। অক্সিজেন সুবিধাসহ ওষুধপত্রাদির কোন সমস্যা বর্তমানে তার হাসপাতালটিতে নেই বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাহিদা প্রদানকালে নতুন মডেলের এক্সরে মেশিনটি স্থাপন এবং বিদ্যুতায়ন বিষয়ে ধারণা না দেয়ায় শুধুমাত্র এক্সরে মেশিনটি ক্রয় করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অবকাঠামোগত ও বিদ্যুতায়নের সমস্যার কারণে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থাপন করতে পারেননি। এ জন্য নতুন করে আবারও প্রায় ১১ লাখ টাকার একটি নতুন প্রকল্প সম্প্রতি অনুমোদন হয়েছে। জনগুরুত্বের বিবেচনায় নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে টেন্ডারের মাধ্যমে আগামী দুই মাসের মধ্যেই এক্সরে মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

image

বাগাতিপাড়া (নাটোর) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচালয় সংলগ্ন বারান্দায় বাক্সবন্দী এক্সের মেশিন -সংবাদ

আরও খবর
দুই জেলায় মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ
বালু উত্তোলনে ড্রেজার জব্দ : জরিমানা
তিন জেলায় লকডাউন অমান্য করায় জরিমানা
১৩ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৬৭ শনাক্ত, ১২৪১

শুক্রবার, ০৯ জুলাই ২০২১ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৮ ২৭ জিলক্বদ ১৪৪২

বাগাতিপাড়ায় ৪ মাস ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দী এক্সরে মেশিন

৫ বছর ধরে এক্সে সেবাবঞ্চিত রোগীরা

প্রতিনিধি, বাগাতিপাড়া (নাটোর)

image

বাগাতিপাড়া (নাটোর) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচালয় সংলগ্ন বারান্দায় বাক্সবন্দী এক্সের মেশিন -সংবাদ

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাসপাতালটিতে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। রোগীরা ইসিজি সেবা পান না। গাইনী রোগীদের জন্য অপারেশন কার্যক্রম (ওটি) হয় না। ফলে হাসপাতালটি নিজেই রোগে ভারাক্রান্ত। তাছাড়াও এক্সরে মেশিন বিকল হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫ বছর ধরে এক্সরে সেবা বঞ্চিত রোগীরা। তবে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক এক্সরে মেশিন ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলেও দীর্ঘদিন যাবত ক্রয়কৃত এক্সরে মেশিনটি প্যাকেটবন্দী হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে রয়েছে। এতে একদিকে যেমন সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা, অন্যদিকে প্যাকেটবন্দী হয়ে এভাবে পড়ে থাকায় আধুনিক যন্ত্রটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, অবকাঠামোগত সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আধুনিক এক্সরে মেশিনটি বসানো যাচ্ছে না। তাছাড়া হাসপাতালটির বেড সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রশ্বস্তকরণ এবং সংস্কার কাজ চলমান থাকায় অবকাঠামোগত সমস্যায় প্যাকেটজাত অবস্থায় এক্সরে মেশিনটি করিডোরে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে হাসপাতালের ব্যবহৃত এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে এক্সরে করতে হয়। রোগীর সেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০১৮ সালে ইউএনও বরাবর তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার ও জাইকার সহযোগিতায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক এক্সরে মেশিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা টেন্ডার দেয়া হয়। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি কার্যাদেশ পান নাটোরের ঠিকাদার মীর হাবিবুল ইসলাম। পরে এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি নতুন আধুনিক এক্সরে মেশিন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা গত ৬ মার্চ গ্রহণ করে। এরপর থেকেই প্যাকেট বন্দী হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় টয়লেটের সামনে পড়ে রয়েছে মূল্যবান এই যন্ত্রটি।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ৬ জনের পদায়ন রয়েছে। পদায়ন থাকলেও দুইজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন যাবত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ইয়াসের আরাফাত ২০১২ সালের ১৮ মার্চ থেকে ৯ বছরের অধিক সময় এবং মেডিকেল অফিসার মোফাজ্জল শরিফ ২০১৪ সালের ২১ জুলাই থেকে ৭ বছর ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান আছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দুটি পদে কাউকে নিয়োগ প্রদান করা যাচ্ছে না। এনেসথেশিয়া পদ দীর্ঘকাল যাবত শূন্য রয়েছে। শিশু, চক্ষু এবং অর্থপেডিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ নাই। এছাড়াও স্বাস্থ্য সহকারীর ১৭টি পদে কর্মরত আছেন ১২ জন। অফিস সহকারীর একটি পদ ও পরিসংখ্যানবিদের পদটি শূন্য আছে। টেকনিশিয়ানের একটি পদ শূন্য আছে। এছাড়া আসবাবপত্র ও বিভিন্ন বিভাগে যন্ত্রপাতির সঙ্কটও রয়েছে। দুটি ইসিজি মেশিন থাকলেও তা দিয়ে তেমন কোন কাজ হয় না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম না থাকায় রোগীদেরকে অন্য হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে সেবা নিতে হয়। তাছাড়া গাইনি বিশেষজ্ঞ পদ থাকলেও এ সংক্রান্ত কোন ওটি (অপারেশন কার্যক্রম) হয় না। এছাড়া কিছু রোগের পরীক্ষা করা হলেও জটিল রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা হয় না। এদিকে উপজেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগী বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত এ উপজেলায় ২৯৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জন এবং ১৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত অনুযায়ী বেড সংখ্যা অপ্রতুল। তবে অক্সিজেন সুবিধা রয়েছে। ওষুধের স্বল্পতা না থাকলেও ওষুধ রাখার স্থানের স্বল্পতা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করায় তার সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের কাজ চলছে। সে কারণে প্যাকেটজাত অবস্থায় নতুন এক্সরে মেশিনটি হাসপাতালের ভেতরে করিডোরে রাখা হয়েছে। এক্সরে কক্ষটিতে নতুন মেশিনটি বসানো উপযোগী করার জন্য সংস্কার কাজ চলছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই কক্ষে স্থাপন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখন সে অনুযায়ী জনবল পাওয়া যায়নি। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ৫টি বেড থেকে বাড়িয়ে ১৪টি বেড বর্তমানে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। অক্সিজেন সুবিধাসহ ওষুধপত্রাদির কোন সমস্যা বর্তমানে তার হাসপাতালটিতে নেই বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাহিদা প্রদানকালে নতুন মডেলের এক্সরে মেশিনটি স্থাপন এবং বিদ্যুতায়ন বিষয়ে ধারণা না দেয়ায় শুধুমাত্র এক্সরে মেশিনটি ক্রয় করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অবকাঠামোগত ও বিদ্যুতায়নের সমস্যার কারণে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থাপন করতে পারেননি। এ জন্য নতুন করে আবারও প্রায় ১১ লাখ টাকার একটি নতুন প্রকল্প সম্প্রতি অনুমোদন হয়েছে। জনগুরুত্বের বিবেচনায় নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে টেন্ডারের মাধ্যমে আগামী দুই মাসের মধ্যেই এক্সরে মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।