গাইবান্ধা হাসপাতালে একইস্থানে করোনা পরীক্ষা ও টিকাদান : বাড়ছে সংক্রমণ

গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট করতে ও টিকাদান কেন্দ্র একই স্থানে হওয়ায় করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। করোনা টেস্ট বুথ ও টিকাদান বুথ পাশাপাশি হওয়ায় সব মানুষ মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নেই কোন তাগিদ। গতকাল সকাল ১১টায় জেলা সদর হাসপাতালে এ ধরনের চিত্র দেখা গেছে।

টিকা নিতে আসা রাসেল ও সাধন জানান, টিকা নিতে ও করোনার টেস্ট করতে মানুষের ঢল নেমেছে। কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেই। যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখান থেকে বাড়ি বাড়ি যাবে করোনা।

করোনা টেস্ট করতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, সিভিল সার্জন অফিসের পশ্চিম পাশে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সম্মুখের খোলা চত্বরে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের বুথটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে করোনার টেস্ট করতে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেখানে বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি নেই কোন চেয়ার বেঞ্চ। ফলে সারাক্ষণই রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এখানে কোন সেডও নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি করোনা নমুনা পরীক্ষার ফরম সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করার মত টেবিল-চেয়ারও সেখানে রাখা হয়নি। জানা গেছে, জেলা পরিষদ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের জন্য একটি সেড নির্মাণের ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তা নির্মাণ করা হয়নি। এদিকে, করোনা টেস্ট বুথের দক্ষিণ পাশেই স্থাপন করা হয়েছে, করোনার টিকাদান কেন্দ্র। দুই জায়গায় মানুষের প্রচন্ড ভিড়। তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।

সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১ জিলহজ্জ ১৪৪২

গাইবান্ধা হাসপাতালে একইস্থানে করোনা পরীক্ষা ও টিকাদান : বাড়ছে সংক্রমণ

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট করতে ও টিকাদান কেন্দ্র একই স্থানে হওয়ায় করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। করোনা টেস্ট বুথ ও টিকাদান বুথ পাশাপাশি হওয়ায় সব মানুষ মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নেই কোন তাগিদ। গতকাল সকাল ১১টায় জেলা সদর হাসপাতালে এ ধরনের চিত্র দেখা গেছে।

টিকা নিতে আসা রাসেল ও সাধন জানান, টিকা নিতে ও করোনার টেস্ট করতে মানুষের ঢল নেমেছে। কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেই। যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখান থেকে বাড়ি বাড়ি যাবে করোনা।

করোনা টেস্ট করতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, সিভিল সার্জন অফিসের পশ্চিম পাশে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সম্মুখের খোলা চত্বরে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের বুথটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে করোনার টেস্ট করতে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেখানে বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি নেই কোন চেয়ার বেঞ্চ। ফলে সারাক্ষণই রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এখানে কোন সেডও নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি করোনা নমুনা পরীক্ষার ফরম সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করার মত টেবিল-চেয়ারও সেখানে রাখা হয়নি। জানা গেছে, জেলা পরিষদ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের জন্য একটি সেড নির্মাণের ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তা নির্মাণ করা হয়নি। এদিকে, করোনা টেস্ট বুথের দক্ষিণ পাশেই স্থাপন করা হয়েছে, করোনার টিকাদান কেন্দ্র। দুই জায়গায় মানুষের প্রচন্ড ভিড়। তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।