১৫ জুলাই ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে নির্ধারিত সময় আগামীকালের মধ্যেই দিতে হবে ভ্যাট রিটার্ন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের আগের মাসের হিসাবসহ ভ্যাট রিটার্ন পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হয়। অন্যথায় গুনতে হয় সুদ ও জরিমানা।

গতকাল এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ মু’মেন বলেন, করদাতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় করোনার মধ্যেও দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরগুলো খোলা রয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিল নিশ্চিত করতে এ বিশেষ ব্যবস্থা। আইন অনুযায়ী সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই।

যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে মার্কেটসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ। জরুরি সেবার আওতায় পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে। এ অবস্থায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন দিতে পারছে না। তাই সময় বৃদ্ধি করা উচিত।

অন্যদিকে এনবিআর বলছে, করদাতা বা ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে। এছাড়া অনলাইনেও রিটার্ন দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিলে এনবিআরের এক আদেশে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে করদাতাদের মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা ও দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধকালে দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরগুলো খোলা রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, করদাতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট দপ্তরে দাখিলপত্র পেশ করতে পারবেন। ওই সময়ে কর্মচারী-কর্মকর্তারা করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাখিলপত্র গ্রহণ ও রাজস্ব আদায় করবেন।

এনবিআরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেছে প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে ৯৬ হাজার প্রতিষ্ঠান। আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার প্রতিষ্ঠান।

বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৮ ৩ জিলহজ্জ ১৪৪২

১৫ জুলাই ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে নির্ধারিত সময় আগামীকালের মধ্যেই দিতে হবে ভ্যাট রিটার্ন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের আগের মাসের হিসাবসহ ভ্যাট রিটার্ন পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হয়। অন্যথায় গুনতে হয় সুদ ও জরিমানা।

গতকাল এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ মু’মেন বলেন, করদাতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় করোনার মধ্যেও দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরগুলো খোলা রয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিল নিশ্চিত করতে এ বিশেষ ব্যবস্থা। আইন অনুযায়ী সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই।

যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে মার্কেটসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ। জরুরি সেবার আওতায় পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে। এ অবস্থায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন দিতে পারছে না। তাই সময় বৃদ্ধি করা উচিত।

অন্যদিকে এনবিআর বলছে, করদাতা বা ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে। এছাড়া অনলাইনেও রিটার্ন দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিলে এনবিআরের এক আদেশে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে করদাতাদের মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা ও দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধকালে দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরগুলো খোলা রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, করদাতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট দপ্তরে দাখিলপত্র পেশ করতে পারবেন। ওই সময়ে কর্মচারী-কর্মকর্তারা করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাখিলপত্র গ্রহণ ও রাজস্ব আদায় করবেন।

এনবিআরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেছে প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে ৯৬ হাজার প্রতিষ্ঠান। আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার প্রতিষ্ঠান।