পশুর হাটে বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির!

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বান্দরবানের বালাঘাটায় পশু হাটে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ, আর এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দরবানের বালাঘাটায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট, আর হাটে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা ছুটে বেড়াচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের সমাগম ঘটিয়ে পশু হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন নাগরিকরা। বান্দরবানের বালাঘাটা বাজারে গরু কিনতে আসা মো: নাজিম উদ্দিন বলেন, বান্দরবানে গরু বিক্রির হাটে জমায়েত বেশি হচ্ছে, অনেকেই সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মুখে মাস্ক না দিয়ে চলাচল করছে। বান্দরবানে করোনা রোগী দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু অনেকেই করোনাকে ভয় না পেয়ে গরু বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করছে।

গরু কিনতে আসা ইসহাক বলেন, কোরবানের এই সময়ে আমাদের বান্দরবানে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে, কেননা গরু বাজারে অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানছে না।

এদিকে বান্দরবান উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে পশুর হাটে বসানো হয়েছে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প, আর এই ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে এবং মোটাতাজাকৃত কোন গরু যাতে বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেদিকে নজরদারি করছে। বান্দরবান সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলোক কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা বান্দরবানে বিভিন্ন গরু বাজার পরিদর্শন করছি এবং কেউ যাতে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে কোন গরু বাজারে আনতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি।

আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছে বান্দরবানে কোরবানি পশু বিক্রির হাটে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, মানুষের ভিড়ে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে, তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বান্দরবানের প্রতিটা গরু বাজারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।

শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ , ২ শ্রাবন ১৪২৮ ৬ জিলহজ ১৪৪২

পশুর হাটে বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির!

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

প্রতিনিধি, বান্দরবান

image

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বান্দরবানের বালাঘাটায় পশু হাটে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ, আর এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দরবানের বালাঘাটায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট, আর হাটে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা ছুটে বেড়াচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের সমাগম ঘটিয়ে পশু হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন নাগরিকরা। বান্দরবানের বালাঘাটা বাজারে গরু কিনতে আসা মো: নাজিম উদ্দিন বলেন, বান্দরবানে গরু বিক্রির হাটে জমায়েত বেশি হচ্ছে, অনেকেই সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মুখে মাস্ক না দিয়ে চলাচল করছে। বান্দরবানে করোনা রোগী দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু অনেকেই করোনাকে ভয় না পেয়ে গরু বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করছে।

গরু কিনতে আসা ইসহাক বলেন, কোরবানের এই সময়ে আমাদের বান্দরবানে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে, কেননা গরু বাজারে অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানছে না।

এদিকে বান্দরবান উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে পশুর হাটে বসানো হয়েছে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প, আর এই ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে এবং মোটাতাজাকৃত কোন গরু যাতে বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেদিকে নজরদারি করছে। বান্দরবান সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলোক কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা বান্দরবানে বিভিন্ন গরু বাজার পরিদর্শন করছি এবং কেউ যাতে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে কোন গরু বাজারে আনতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি।

আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছে বান্দরবানে কোরবানি পশু বিক্রির হাটে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, মানুষের ভিড়ে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে, তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বান্দরবানের প্রতিটা গরু বাজারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।