এখনও সংস্কার করা হয়নি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস অনুযায়ী করা হয়নি সংস্কারকাজ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, মহাসড়কটির ৩০-৩৫ শতাংশ সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঈদযাত্রায় এই ভোগান্তি আরও বাড়বে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
শুধু এই একটি সড়কই নয়, দেশের আরও অনেক সড়ক-মহাসড়কই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের খবর থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পিসি রোডের নয়াবাজার এলাকায় সদ্য নির্মিত সড়কের বিশাল অংশ কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধসে গেছে। সড়ক-মহাসড়কের ত্রুটির কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে, যানবাহন বিকল হয়, তৈরি হয় যানজট।
প্রশ্ন হচ্ছে, সড়কগুলো নির্মাণের পর টেকসই হয় না কেন। নির্মাণের পর দেশের কোন সড়ক-মহাসড়ক মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছে সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যাবে-এটাই পরিচিত দৃশ্য। ভাঙা সড়ক সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের জন্য আবার টেন্ডার, আবার কাজ আর জনগণের পয়সা শ্রাদ্ধ করা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সড়কের ওপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে-নির্মাণের সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের অনেক সড়কই ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। আবার নির্মাণ উপকরণের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটে বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা প্রভৃতি দুদকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। এসব অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে দুদক ২১ দফা সুপারিশও করেছিল। আমরা বলতে চাই, সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার যেমন জরুরি, সড়ক নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করাও তেমন জরুরি।
ঈদের আগেই ঢাকা-ময়মনসিংহসহ সব সড়ক-মহাসড়ক সংস্কার করা মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ , ২ শ্রাবন ১৪২৮ ৬ জিলহজ ১৪৪২
এখনও সংস্কার করা হয়নি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস অনুযায়ী করা হয়নি সংস্কারকাজ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, মহাসড়কটির ৩০-৩৫ শতাংশ সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঈদযাত্রায় এই ভোগান্তি আরও বাড়বে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
শুধু এই একটি সড়কই নয়, দেশের আরও অনেক সড়ক-মহাসড়কই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের খবর থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পিসি রোডের নয়াবাজার এলাকায় সদ্য নির্মিত সড়কের বিশাল অংশ কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধসে গেছে। সড়ক-মহাসড়কের ত্রুটির কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে, যানবাহন বিকল হয়, তৈরি হয় যানজট।
প্রশ্ন হচ্ছে, সড়কগুলো নির্মাণের পর টেকসই হয় না কেন। নির্মাণের পর দেশের কোন সড়ক-মহাসড়ক মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছে সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যাবে-এটাই পরিচিত দৃশ্য। ভাঙা সড়ক সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের জন্য আবার টেন্ডার, আবার কাজ আর জনগণের পয়সা শ্রাদ্ধ করা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সড়কের ওপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে-নির্মাণের সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা হয় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের অনেক সড়কই ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। আবার নির্মাণ উপকরণের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটে বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক প্রতিবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা প্রভৃতি দুদকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। এসব অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে দুদক ২১ দফা সুপারিশও করেছিল। আমরা বলতে চাই, সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার যেমন জরুরি, সড়ক নিয়ে হওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করাও তেমন জরুরি।
ঈদের আগেই ঢাকা-ময়মনসিংহসহ সব সড়ক-মহাসড়ক সংস্কার করা মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।