এক সপ্তাহ বন্ধ টিসিবির বিক্রি

ঈদ উপলক্ষে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। গতকাল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর চালু হয়ে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম।

গতকাল টিসিবির কোন ট্রাক সেল বের হচ্ছে না। সম্ভাব্য ২৬ তারিখ পর্যন্ত ঈদের কারণে বন্ধ থাকছে। এ ট্রাক সেল চলতি মাসের ২৯ তারিখে পুরোদমে বন্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় তা ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ ২৬ জুলাই শুরু হয়ে আবারও টানা একমাস টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম চলবে।’

করোনা সংক্রমণের সময় ভোক্তাদের কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে ৫ জুলাই থেকে এ ট্রাক সেল শুরু হয় সারাদেশে। মাঝে ঈদের কয়েকদিন সাধারণ ছুটি বাদে চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা ছিল।

একইসঙ্গে এ দফায় ডিলারদের জন্য পণ্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ভাবছে সংস্থাটি। টিসিবির যুগ্ম পরিচালক ও মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘করোনার সময় কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মানুষ যেন বেশি বেশি করে পণ্য পায় এজন্য ডিলারদের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।’

টিসিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘করোনায় সাধারণ ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে প্রতিটি ট্রাকে আগের চেয়ে বেশি তেল, ডাল ও চিনি সরবরাহ করা হছে। তবে সামনে আরও কী পরিমাণ বাড়ানো হবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ভোক্তাদের চাহিদা মোতাবেক পণ্য সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য।’

ইতোমধ্যে দেশজুড়ে টিসিবির ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম শহরে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এসব ট্রাকে কেজি প্রতি ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল এবং লিটারপ্রতি ১০০ টাকা দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাবে সব পণ্য।

বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়। সরবরাহ বাড়লে একজন ব্যক্তি দৈনিক ২ থেকে ৪ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল ও থেকে ৫ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন।

আরও খবর
চামড়া ব্যবস্থাপনায় তিনটি কমিটি গঠন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেল একমি পেস্টিসাইডস
ব্যাংকে গ্রাহকের ভিড় লেনদেন দ্বিগুণ
বিসিএসআইআর এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে গবেষণা সহযোগিতা চুক্তি
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন আরও ৩ জন
‘আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেড ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে’
লাইসেন্স ছাড়া দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ইউনিয়ন ব্যাংকের কলেজ বাজার উপশাখা এবং খাঁন হাট উপশাখা শুভ উদ্বোধন
বিধিনিষেধের মধ্যেও খোলা থাকবে বিমা অফিস
ছয় হাজার ৪০০ পয়েন্ট ছাড়াল ডিএসইএক্স
ঈদের আগে ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এলো

মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১ , ৫ শ্রাবন ১৪২৮ ৯ জিলহজ ১৪৪২

এক সপ্তাহ বন্ধ টিসিবির বিক্রি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ঈদ উপলক্ষে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। গতকাল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর চালু হয়ে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম।

গতকাল টিসিবির কোন ট্রাক সেল বের হচ্ছে না। সম্ভাব্য ২৬ তারিখ পর্যন্ত ঈদের কারণে বন্ধ থাকছে। এ ট্রাক সেল চলতি মাসের ২৯ তারিখে পুরোদমে বন্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় তা ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ ২৬ জুলাই শুরু হয়ে আবারও টানা একমাস টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম চলবে।’

করোনা সংক্রমণের সময় ভোক্তাদের কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে ৫ জুলাই থেকে এ ট্রাক সেল শুরু হয় সারাদেশে। মাঝে ঈদের কয়েকদিন সাধারণ ছুটি বাদে চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা ছিল।

একইসঙ্গে এ দফায় ডিলারদের জন্য পণ্য বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ভাবছে সংস্থাটি। টিসিবির যুগ্ম পরিচালক ও মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘করোনার সময় কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মানুষ যেন বেশি বেশি করে পণ্য পায় এজন্য ডিলারদের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।’

টিসিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘করোনায় সাধারণ ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে প্রতিটি ট্রাকে আগের চেয়ে বেশি তেল, ডাল ও চিনি সরবরাহ করা হছে। তবে সামনে আরও কী পরিমাণ বাড়ানো হবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ভোক্তাদের চাহিদা মোতাবেক পণ্য সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য।’

ইতোমধ্যে দেশজুড়ে টিসিবির ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম শহরে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এসব ট্রাকে কেজি প্রতি ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল এবং লিটারপ্রতি ১০০ টাকা দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাবে সব পণ্য।

বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়। সরবরাহ বাড়লে একজন ব্যক্তি দৈনিক ২ থেকে ৪ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল ও থেকে ৫ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন।