কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ থাকছে গার্মেন্টস

প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এ সময় তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস) বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালে গার্মেন্টস খুলবে না।

গত ১৩ জুলাই দুপুরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসও বিধিনিষেধ কালে বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

তৈরি পোশাক শিল্পে মালিকরা বলছেন, গার্মেন্টস খাতের জন্য বড় ক্ষতি সত্ত্বেও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে তারা মেনে নিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই বিধিনিষেধ। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রপ্তানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এটা ১৪ দিন সফলভাবে করতে পারি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব। না হলে এটা (করোনা সংক্রমণ) বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে যে চাপ তা ম্যানেজ করতে অসুবিধা হবে। তাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এই ১৪ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ , ৮ শ্রাবন ১৪২৮ ১২ জিলহজ ১৪৪২

কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ থাকছে গার্মেন্টস

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এ সময় তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস) বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালে গার্মেন্টস খুলবে না।

গত ১৩ জুলাই দুপুরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসও বিধিনিষেধ কালে বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

তৈরি পোশাক শিল্পে মালিকরা বলছেন, গার্মেন্টস খাতের জন্য বড় ক্ষতি সত্ত্বেও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে তারা মেনে নিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই বিধিনিষেধ। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রপ্তানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এটা ১৪ দিন সফলভাবে করতে পারি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব। না হলে এটা (করোনা সংক্রমণ) বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে যে চাপ তা ম্যানেজ করতে অসুবিধা হবে। তাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এই ১৪ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।