কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

জনশূন্য হয়ে গেছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। মহামারী করোনা সংক্রমণরোধে সরকার ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রথম দিনে ঘাটে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নদী পারের জন্য অপেক্ষা করেছে প্রায় কয়েকশ’ যানবাহন। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসও ছিল। এসব পরিবহনগুলো বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে এসে পৌঁছায়।

বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা সব যানবাহনই নদী পার হয়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকা এখন পুরোপুরি ফাঁকা। কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় ঘাটে নতুন করে আর কোন যানবাহন ঢুকতে দেখা যায়নি। ঘাট এলাকা এখন যানবাহন শূন্য।

সরেজমিনে গতকাল দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাট এলাকাতে কোন যানবাহন নেই। ফেরিগুলো অলস সময় পার করছে পন্টুনে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ১৬টি ফেরি রয়েছে। সকাল পর্যন্ত সব ফেরি চলেছে। কিন্তু যানবাহন না থাকায় এখন ফেরিগুলো পন্টুনেই নোঙর করে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, জনশূন্যে রূপান্তরিত হয়েছে বাস টার্মিনাল। যে বাস টার্মিনাল সব সময় গাড়ির হর্নে মুখরিত থাকতো, সেই টার্মিনালে এখন শুনসান অবস্থা। একটা গাড়িও নেই টার্মিনালে। তাছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে কোন যানবাহন নেই। তবে দুয়েকটা স্থানীয় অটোরিক্সা চলাচল করছে।

এদিকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সরকার নির্দেশিত সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে তারা। বিধিনিষেধ মানানোর পাশাপাশি প্রশাসন সবাইকে আরও অধিক সচেতন হওয়ার জন্যও পরামর্শ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে যে সব যানবাহন ঘাটে এসে নদী পার হতে পারেনি সেই যানবাহনগুলোকে আমরা সকালের মধ্যেই নদী পার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ঘাটে আর কোন যানবাহন নেই। ঘাট এখন ফাঁকা। এখন থেকে জরুরি সেবা প্রদানকারী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৩টি ফেরি চলাচল করবে।

শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ , ৮ শ্রাবন ১৪২৮ ১২ জিলহজ ১৪৪২

ফাঁকা দৌলতদিয়া ঘাট

কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

জনশূন্য হয়ে গেছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। মহামারী করোনা সংক্রমণরোধে সরকার ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রথম দিনে ঘাটে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নদী পারের জন্য অপেক্ষা করেছে প্রায় কয়েকশ’ যানবাহন। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসও ছিল। এসব পরিবহনগুলো বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে এসে পৌঁছায়।

বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা সব যানবাহনই নদী পার হয়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকা এখন পুরোপুরি ফাঁকা। কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় ঘাটে নতুন করে আর কোন যানবাহন ঢুকতে দেখা যায়নি। ঘাট এলাকা এখন যানবাহন শূন্য।

সরেজমিনে গতকাল দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাট এলাকাতে কোন যানবাহন নেই। ফেরিগুলো অলস সময় পার করছে পন্টুনে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ১৬টি ফেরি রয়েছে। সকাল পর্যন্ত সব ফেরি চলেছে। কিন্তু যানবাহন না থাকায় এখন ফেরিগুলো পন্টুনেই নোঙর করে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, জনশূন্যে রূপান্তরিত হয়েছে বাস টার্মিনাল। যে বাস টার্মিনাল সব সময় গাড়ির হর্নে মুখরিত থাকতো, সেই টার্মিনালে এখন শুনসান অবস্থা। একটা গাড়িও নেই টার্মিনালে। তাছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে কোন যানবাহন নেই। তবে দুয়েকটা স্থানীয় অটোরিক্সা চলাচল করছে।

এদিকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সরকার নির্দেশিত সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে তারা। বিধিনিষেধ মানানোর পাশাপাশি প্রশাসন সবাইকে আরও অধিক সচেতন হওয়ার জন্যও পরামর্শ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে যে সব যানবাহন ঘাটে এসে নদী পার হতে পারেনি সেই যানবাহনগুলোকে আমরা সকালের মধ্যেই নদী পার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ঘাটে আর কোন যানবাহন নেই। ঘাট এখন ফাঁকা। এখন থেকে জরুরি সেবা প্রদানকারী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৩টি ফেরি চলাচল করবে।