ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে হিসাব পরিচালনার অনুমতি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে হিসাব পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দেশের বাইরে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ওই সব দেশের অংশীদারের সঙ্গে যৌথভাবে হিসাব খোলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদেশে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে। প্রকল্প থেকে অর্জিত আয় পরিচালিত হিসাবে জমা করতে পারবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিদেশ থেকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ উক্ত হিসাবে জমা করা যাবে। তবে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোন জামানত নেয়া যাবে না। বিদেশে পরিচালিত হিসাবের স্থিতি দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রকল্প ব্যয় পরিশোধ নিষ্পত্তি করা যাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ব্যাংক হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় দাখিল করার জন্য সার্কুলারে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্প কার্যক্রম সমাপ্তির এক মাসের মধ্যে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে আসার আবশ্যকতা রাখা হয়েছে। তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কোন নির্ধারিত সময়ের জন্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হলে তা করা যাবে। যৌথ হিসাব পরিচালনা কার্যক্রম সম্ভব না হলে চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দেশে এজেন্টের মাধ্যমে স্ক্রু হিসাব পরিচালনা করা যাবে। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থের প্রযোজ্য অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা করা যাবে। প্রাপ্ত আয়ের ওপর প্রযোজ্য কর কর্তন ও জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১ , ১২ শ্রাবন ১৪২৮ ১৬ জিলহজ ১৪৪২

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে হিসাব পরিচালনার অনুমতি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে হিসাব পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দেশের বাইরে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ওই সব দেশের অংশীদারের সঙ্গে যৌথভাবে হিসাব খোলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদেশে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে। প্রকল্প থেকে অর্জিত আয় পরিচালিত হিসাবে জমা করতে পারবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিদেশ থেকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ উক্ত হিসাবে জমা করা যাবে। তবে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোন জামানত নেয়া যাবে না। বিদেশে পরিচালিত হিসাবের স্থিতি দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রকল্প ব্যয় পরিশোধ নিষ্পত্তি করা যাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ব্যাংক হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় দাখিল করার জন্য সার্কুলারে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্প কার্যক্রম সমাপ্তির এক মাসের মধ্যে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে আসার আবশ্যকতা রাখা হয়েছে। তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কোন নির্ধারিত সময়ের জন্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হলে তা করা যাবে। যৌথ হিসাব পরিচালনা কার্যক্রম সম্ভব না হলে চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দেশে এজেন্টের মাধ্যমে স্ক্রু হিসাব পরিচালনা করা যাবে। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থের প্রযোজ্য অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা করা যাবে। প্রাপ্ত আয়ের ওপর প্রযোজ্য কর কর্তন ও জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।