শেবাচিমে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন

চুক্তি না হওয়ায় নির্মাণের এক মাসেও অক্সিজেন শূন্য ট্যাঙ্ক!

করোনার মুমূর্ষু রোগীসহ অন্যন্য রোগীদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একমাস আগে অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্ট্রার মাধ্যমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন মজুদের জন্য একটি নতুন ট্যাংক স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তা শূন্য রয়েছে। পূর্বের ছোটাকৃতির ট্যাংক ও সিলিন্ডারই রোগীদের ভরসা হয়ে আছে।

জানা গেছে অক্সিজেন সরবরাহকারী কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের আনুষ্ঠানিক কোন চুক্তি না হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, একটি প্রতিষ্ঠান অক্সিজেন সরবরাহের জন্য দরপত্র জমা দিলে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দিলেও তিনি সেই চুক্তি না করায় অক্সিজেন সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

অপরদিকে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের দরের চেয়ে অনেক কম দরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান অকিসজেন সরবরাহ করার প্রস্তাব দিলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উচ্চমূল্যের দরপত্র গ্রহনের নির্দেশ দেওয়ায় হাসপাতালের পরিচালক চাচ্ছেন তার বদলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই চুক্তি স্বাক্ষর করুক। আর এ কারণেই কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে না।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩০০টি সিলিন্ডার প্রতিদিন ৭-৮ বার রিফিল করছে। কিন্তু এভাবে অক্সিজেন সেবা অব্যাহত রাখায় ঝুঁকি থাকায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ১০ হাজার লিটারের ট্যাংকটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়া তারপর। অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে এক্সপেক্ট্রা ট্যাংক রিফিলের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও পরিবহন ব্যয় বাবদ ১৫ হাজার টাকার দর দেয়। লিনডে নামক আরেকটি প্রতিষ্ঠান রিফিলের জন্য ১৪ হাজার টাকা ও পরিবহন বাবদ ২ হাজার টাকা দর দাখিল করেছে। সে কারণেই ভবিষ্যতের বিতর্ক এড়ানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোন চুক্তি করা হয়নি।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য হাসপাতাল পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই পরিচালকের এ ব্যাপারে দ্বিতীয় চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের এ নির্দেশনার পর আমি শীঘ্রই এক্সপেক্ট্রার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করব। তাই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১ , ১৬ শ্রাবণ ১৪২৮ ২০ জিলহজ ১৪৪২

শেবাচিমে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন

চুক্তি না হওয়ায় নির্মাণের এক মাসেও অক্সিজেন শূন্য ট্যাঙ্ক!

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

image

করোনার মুমূর্ষু রোগীসহ অন্যন্য রোগীদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একমাস আগে অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্ট্রার মাধ্যমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন মজুদের জন্য একটি নতুন ট্যাংক স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তা শূন্য রয়েছে। পূর্বের ছোটাকৃতির ট্যাংক ও সিলিন্ডারই রোগীদের ভরসা হয়ে আছে।

জানা গেছে অক্সিজেন সরবরাহকারী কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের আনুষ্ঠানিক কোন চুক্তি না হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, একটি প্রতিষ্ঠান অক্সিজেন সরবরাহের জন্য দরপত্র জমা দিলে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দিলেও তিনি সেই চুক্তি না করায় অক্সিজেন সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

অপরদিকে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের দরের চেয়ে অনেক কম দরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান অকিসজেন সরবরাহ করার প্রস্তাব দিলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উচ্চমূল্যের দরপত্র গ্রহনের নির্দেশ দেওয়ায় হাসপাতালের পরিচালক চাচ্ছেন তার বদলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই চুক্তি স্বাক্ষর করুক। আর এ কারণেই কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে না।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩০০টি সিলিন্ডার প্রতিদিন ৭-৮ বার রিফিল করছে। কিন্তু এভাবে অক্সিজেন সেবা অব্যাহত রাখায় ঝুঁকি থাকায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ১০ হাজার লিটারের ট্যাংকটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়া তারপর। অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে এক্সপেক্ট্রা ট্যাংক রিফিলের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও পরিবহন ব্যয় বাবদ ১৫ হাজার টাকার দর দেয়। লিনডে নামক আরেকটি প্রতিষ্ঠান রিফিলের জন্য ১৪ হাজার টাকা ও পরিবহন বাবদ ২ হাজার টাকা দর দাখিল করেছে। সে কারণেই ভবিষ্যতের বিতর্ক এড়ানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোন চুক্তি করা হয়নি।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য হাসপাতাল পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই পরিচালকের এ ব্যাপারে দ্বিতীয় চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের এ নির্দেশনার পর আমি শীঘ্রই এক্সপেক্ট্রার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করব। তাই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।