করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী

দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান। সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি আবার শুরুর বিষয়ে এখনও কোন নির্দেশনা পাননি বলেও জানান তিনি।

গতকাল দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বুলেটিনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে গত ৭ দিনে ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার হার আগের ৭ দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। গত ৭ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫৮ জন এবং যেটি আগের ৭ দিনের চেয়ে ৩ হাজার ৭৫৮ জন কম। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে এসেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি পুরো সপ্তাহের প্রথম দুদিন ৭ শতাংশের সামান্য বেশি ছিল। তারপর থেকে ৬ শতাংশ বা তার সামান্য কিছু বেশি ছিল। সামগ্রিকভাবে গত ৩০ দিনের সংক্রমণের চিত্র এই মুহূর্তে নিম্নমুখী প্রবণতাতেই আছে।’

ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

ে পৃষ্ঠা ১১ : ক : ৪

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী

(১ম পৃষ্ঠার পর)

হিসাব থেকে জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৭ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি রোগী ছিল জুলাই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। শীর্ষ ১০টি জেলার মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৪২ জন এবং নোয়াখালীতে ২২ হাজার ৬২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।’ তিনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষাগার মিলিয়ে ৮০৮টি ল্যাবরেটরিতে আরটি-পিসিআর জিন এক্সপার্ট এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা রোগীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৯ হাজার ৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত ৯৪ লাখ ১৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’

গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ২২৫ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৮৩ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৬২৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১ হাজার ৫৪১ জন। মৃত্যু ৪৩ জনের মধ্যে নারী ২১ জন এবং পুরুষ ২২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৮ জন মারা গেছেন।

বিভাগওয়ারি মৃত্যুর হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকায় ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৬, সিলেটে ২, রংপুরে ৩ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। এর আগে গত শনিবার ৩৫, শুক্রবার ৩৮, বৃহস্পতিবার ৫১ বুধবার ৫১, মঙ্গলবার ৩৫ ও সোমবার ৪১ জনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫ আশ্বিন ১৪২৮ ১১ সফর ১৪৪৩

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান। সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি আবার শুরুর বিষয়ে এখনও কোন নির্দেশনা পাননি বলেও জানান তিনি।

গতকাল দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বুলেটিনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে গত ৭ দিনে ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার হার আগের ৭ দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। গত ৭ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫৮ জন এবং যেটি আগের ৭ দিনের চেয়ে ৩ হাজার ৭৫৮ জন কম। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে এসেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি পুরো সপ্তাহের প্রথম দুদিন ৭ শতাংশের সামান্য বেশি ছিল। তারপর থেকে ৬ শতাংশ বা তার সামান্য কিছু বেশি ছিল। সামগ্রিকভাবে গত ৩০ দিনের সংক্রমণের চিত্র এই মুহূর্তে নিম্নমুখী প্রবণতাতেই আছে।’

ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

ে পৃষ্ঠা ১১ : ক : ৪

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী

(১ম পৃষ্ঠার পর)

হিসাব থেকে জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৭ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি রোগী ছিল জুলাই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। শীর্ষ ১০টি জেলার মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৪২ জন এবং নোয়াখালীতে ২২ হাজার ৬২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।’ তিনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষাগার মিলিয়ে ৮০৮টি ল্যাবরেটরিতে আরটি-পিসিআর জিন এক্সপার্ট এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা রোগীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৯ হাজার ৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত ৯৪ লাখ ১৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’

গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ২২৫ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৮৩ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৬২৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১ হাজার ৫৪১ জন। মৃত্যু ৪৩ জনের মধ্যে নারী ২১ জন এবং পুরুষ ২২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৮ জন মারা গেছেন।

বিভাগওয়ারি মৃত্যুর হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকায় ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৬, সিলেটে ২, রংপুরে ৩ ও ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। এর আগে গত শনিবার ৩৫, শুক্রবার ৩৮, বৃহস্পতিবার ৫১ বুধবার ৫১, মঙ্গলবার ৩৫ ও সোমবার ৪১ জনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।