ডিআইজি পার্থ গোপাল আত্মসমর্পণের পর কারাগারে

দুর্নীতি দমন ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। গতকাল বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি এ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দিয়েছিলেন। এরপর পার্থ গোপাল কারামুক্ত হন।

পরে ওই জামিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি করে গত ২ সেপ্টেম্বর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ পার্থ গোপালের জামিন বাতিল করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। সেইসঙ্গে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। পরে সেদিন বিকেলে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করার কথা জানায় দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। গত বছরের ৪ নভেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পার্থ গোপাল বণিকের বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫ আশ্বিন ১৪২৮ ১১ সফর ১৪৪৩

দুর্নীতি মামলায়

ডিআইজি পার্থ গোপাল আত্মসমর্পণের পর কারাগারে

আদালত বার্তা পরিবেশক

দুর্নীতি দমন ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। গতকাল বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি এ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দিয়েছিলেন। এরপর পার্থ গোপাল কারামুক্ত হন।

পরে ওই জামিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি করে গত ২ সেপ্টেম্বর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ পার্থ গোপালের জামিন বাতিল করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। সেইসঙ্গে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। পরে সেদিন বিকেলে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করার কথা জানায় দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। গত বছরের ৪ নভেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পার্থ গোপাল বণিকের বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।