সিআইডির পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল আপিল বিভাগে এমন তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী শেখ মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার। পরে প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
সিআইডি পুলিশের এসআই মো. মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় প্রকৃত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়ের পরিবর্তে রবিউল হিসেবে গত বছর ২০ অক্টোবর ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চাঁদপুরের মো. আবু ইউসুফ লিমন। বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপর গত ৩ জুন ইউসুফকে মুক্তির নির্দেশ দেন ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
জানা যায়, বিত্তশালীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করছিল একটি চক্র। ওই চক্রের কবলে পড়েন সিআইডি পুলিশের এসআই মো. মামুন ইমরান খান। তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে গাজীপুর বনে ফেলে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ঢাকার বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই মামলা করেন। মামলার কয়েক দিনের মাথায় ১৯ জুলাই ফারিয়া বিনতে মিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শুরু হয় মামলাটির। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এখনও মামলাটির বিচার সম্পন্ন হয়নি। ওই অবস্থায়ই মীমকে গত বছরের ১১ অক্টোবর জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পান মীম। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন স্থগিত করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ আগস্ট ফারিয়া বিনতে মীমের জামিন বাতিল করে আপিল বিভাগ এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫ আশ্বিন ১৪২৮ ১১ সফর ১৪৪৩
আদালত বার্তা পরিবেশক
সিআইডির পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল আপিল বিভাগে এমন তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী শেখ মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার। পরে প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
সিআইডি পুলিশের এসআই মো. মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় প্রকৃত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়ের পরিবর্তে রবিউল হিসেবে গত বছর ২০ অক্টোবর ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চাঁদপুরের মো. আবু ইউসুফ লিমন। বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপর গত ৩ জুন ইউসুফকে মুক্তির নির্দেশ দেন ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
জানা যায়, বিত্তশালীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করছিল একটি চক্র। ওই চক্রের কবলে পড়েন সিআইডি পুলিশের এসআই মো. মামুন ইমরান খান। তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে গাজীপুর বনে ফেলে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ঢাকার বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই মামলা করেন। মামলার কয়েক দিনের মাথায় ১৯ জুলাই ফারিয়া বিনতে মিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শুরু হয় মামলাটির। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এখনও মামলাটির বিচার সম্পন্ন হয়নি। ওই অবস্থায়ই মীমকে গত বছরের ১১ অক্টোবর জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পান মীম। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন স্থগিত করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ আগস্ট ফারিয়া বিনতে মীমের জামিন বাতিল করে আপিল বিভাগ এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।