৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর বৃদ্ধিতেও সূচক-লেনদেনে পতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫৮.৪৪ শতাংশ বা ২১৮টি কোম্পানির দর বাড়লেও সূচকের পতনে লেনদেন কমেছে। এদিন, ব্যাংকের পাশাপাশি প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার।

অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতন হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে, দিনশেষে সিএসই’র সার্বিক লেনদেন কমেছে। গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসই ও সিএসই’র সার্বিক লেনদেন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল দিনশেষে ব্যাংকিং খাতের ৮৪.৩৮ শতাংশ বা ২৭টি ব্যাংকের দর বেড়েছে। এ সময় প্রকৌশল খাতের ৬১.৯০, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫০ এবং বীমা খাতের ৮৪.৩১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইতে ৩৭৩টি কোম্পানির মধ্যে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১১৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

সিংহভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতেও দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক চার দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৭৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনশেষে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, জিপিএস ইস্পাত, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এসএস স্টিল ও অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৪৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৮১ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১৬ কোটি ১৪ লাখ ৭৮৫ টাকা।

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১ , ২৩ আশ্বিন ১৪২৮ ৩০ সফর ১৪৪৩

৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর বৃদ্ধিতেও সূচক-লেনদেনে পতন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫৮.৪৪ শতাংশ বা ২১৮টি কোম্পানির দর বাড়লেও সূচকের পতনে লেনদেন কমেছে। এদিন, ব্যাংকের পাশাপাশি প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার।

অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতন হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে, দিনশেষে সিএসই’র সার্বিক লেনদেন কমেছে। গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসই ও সিএসই’র সার্বিক লেনদেন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল দিনশেষে ব্যাংকিং খাতের ৮৪.৩৮ শতাংশ বা ২৭টি ব্যাংকের দর বেড়েছে। এ সময় প্রকৌশল খাতের ৬১.৯০, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫০ এবং বীমা খাতের ৮৪.৩১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইতে ৩৭৩টি কোম্পানির মধ্যে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১১৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

সিংহভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতেও দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক চার দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৭৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনশেষে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, জিপিএস ইস্পাত, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এসএস স্টিল ও অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৪৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৮১ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১৬ কোটি ১৪ লাখ ৭৮৫ টাকা।