এক বছরেও সেতুর দুই পাড়ে সড়ক হয়নি! দুর্ভোগে গ্রামবাসী

মাদারীপুরে একটি খালের ওপর সেতু নির্মাণ করলেও সেতুর সামনে নেই কোন সড়ক। এই জন্য সেতু নির্মাণের সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী। সেতুটির জন্য দ্রুত রাস্তা নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেতুটির জন্য রাস্তা নির্মাণের করে দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আঙুলকাটা পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক সামনে দিয়ে একটি বড় খাল আড়িয়াল খা নদের গিয়ে মিশেছে। খালে অনেক পানির প্রবাহ। খালটি ব্যবহার করে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা নৌকা বেয়েও যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এই খালটির ওপরেই গতবছরের এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণ করে ফেলে রাখা হয়েছে এক বছর ধরে। ব্রিজের মুখে বাঁশ ঝাড়ে পরিপূর্ণ। তাই ছোটখাট যানবাহন তো দূরের কথা মানুষই পায়ে হেঁটেও ব্যবহার করতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ব্রিজটির মুখের পূর্ব পাশে বাঁশ বাগান। কোন রাস্তা নাই। ক্যামনে আমরা এই ব্রিজ ব্যবহার করবো। খালের ওই পাড়ে একটি মসজিদ আছে। আমরা মসজিদে নামাজ পড়তেও যেতে পারি না। ব্রিজের রাস্তা থাকলে সহজে যেতে পারতাম। এই এলাকার স্কুল ছাত্র রিফাত বলেন, ব্রিজের রাস্তাটি থাকলে আমরা ব্রিজটি ব্যবহার করে স্কুলে যাতায়াত করতে পারতাম। এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, আঙুলকাটা ফাঁড়ির কাছের খালের ব্রিজটি এলজিএসপির অধীনে প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ নেই। তবে আমরা বিকল্পভাবে অর্থ বরাদ্দ করে ওই ব্রিজটি যাতে স্থানীয়রা ব্যবহার করতে পারে সেজন্য রাস্তা নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

image

মাদারীপুর : দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় এভাবেই পরিত্যক্ত পড়ে রয়েছে সেতু -সংবাদ

আরও খবর
অবশেষে কর্মস্থলে ফিরলেন রাঙ্গাবালীর সেই ভূমিকর্তা
সিদ্ধিরগঞ্জে জাল টাকাসহ ৪ ও ৯ চাঁদাবাজ আটক
মির্জাগঞ্জে ছাত্রীর আত্মহত্যা
সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে জেলায় শ্রেষ্ঠ
পোরশায় প্রাচীন দুর্গা মূর্তি উদ্ধার
দুই স্থান থেকে ভাতা তুলছেন মুক্তিযোদ্ধা
সৈয়দপুর-কক্সবাজার বিমান চলাচল শুরু
মহিপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত আনসার সদস্য
চাটখিলে বাল্যবিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন
মহেশপুরে ২৩ বাইক আটক, মামলা ১৮
গৌরনদীতে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ গ্রেফতার ৬
মুন্সীগঞ্জে বিদেশগামীদের টিকার নিবন্ধনে লাগে হাজার টাকা
কুড়িগ্রামে টিকা নিতে এসে ফিরে গেল সহস্র্রাধিক মানুষ
পীরগাছায় কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
চুনারুঘাটে ত্রিপুরা পল্লীর সেতুর সংযোগ সড়কে ধস
রাজশাহীতে বিভিন্ন অপরাধে আটক ২৩

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১ , ২৩ আশ্বিন ১৪২৮ ৩০ সফর ১৪৪৩

এক বছরেও সেতুর দুই পাড়ে সড়ক হয়নি! দুর্ভোগে গ্রামবাসী

রিপন মল্লিক, মাদারীপুর

image

মাদারীপুর : দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় এভাবেই পরিত্যক্ত পড়ে রয়েছে সেতু -সংবাদ

মাদারীপুরে একটি খালের ওপর সেতু নির্মাণ করলেও সেতুর সামনে নেই কোন সড়ক। এই জন্য সেতু নির্মাণের সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী। সেতুটির জন্য দ্রুত রাস্তা নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেতুটির জন্য রাস্তা নির্মাণের করে দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আঙুলকাটা পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক সামনে দিয়ে একটি বড় খাল আড়িয়াল খা নদের গিয়ে মিশেছে। খালে অনেক পানির প্রবাহ। খালটি ব্যবহার করে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা নৌকা বেয়েও যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এই খালটির ওপরেই গতবছরের এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণ করে ফেলে রাখা হয়েছে এক বছর ধরে। ব্রিজের মুখে বাঁশ ঝাড়ে পরিপূর্ণ। তাই ছোটখাট যানবাহন তো দূরের কথা মানুষই পায়ে হেঁটেও ব্যবহার করতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ব্রিজটির মুখের পূর্ব পাশে বাঁশ বাগান। কোন রাস্তা নাই। ক্যামনে আমরা এই ব্রিজ ব্যবহার করবো। খালের ওই পাড়ে একটি মসজিদ আছে। আমরা মসজিদে নামাজ পড়তেও যেতে পারি না। ব্রিজের রাস্তা থাকলে সহজে যেতে পারতাম। এই এলাকার স্কুল ছাত্র রিফাত বলেন, ব্রিজের রাস্তাটি থাকলে আমরা ব্রিজটি ব্যবহার করে স্কুলে যাতায়াত করতে পারতাম। এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, আঙুলকাটা ফাঁড়ির কাছের খালের ব্রিজটি এলজিএসপির অধীনে প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ নেই। তবে আমরা বিকল্পভাবে অর্থ বরাদ্দ করে ওই ব্রিজটি যাতে স্থানীয়রা ব্যবহার করতে পারে সেজন্য রাস্তা নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।