থামছে না ডেঙ্গু ৭ দিনে আক্রান্ত ১৩৪৭ জন, মৃত্যু ৪

২৪ ঘন্টায় আরও ২০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি

থামছে না ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব। প্রতিদিন এই মশার কামড়ে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। পহেলা অক্টোবর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩৪৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। এভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কবে মশার উপদ্রব কমবে তা নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে না পারলেও কীটতত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শীত পড়লে মশার উপদ্রব কিছুটা কমবে বলে আশাবাদি। আর পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার বিস্তার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সারাদেশে এ মশার উপদ্রব ধ্বংস করতে হবে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন নেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ১৭৩ জন। ঢাকার বাইরে ৩৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪৪ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৮ জন। মারা গেছে ৭৩ জন। এখনও ভর্তি আছে ৮৭৩ জন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে তাদের সংখ্যাই আছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তারা ডাক্তারদের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হিসেবে নেই। আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইউরোপ ও ভারতসহ অনেক দেশে এডিস মশা দমনে আলাদা বিভাগ আছে। ওই বিভাগের আলাদা বাজেট থাকে। মশা দমনে আলাদা জনবল আছে। তারা বছরজুড়ে এলাকা ভিত্তিক মশা দমন করে। বাংলাদেশে এই পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। না হয় মশা দমন করা আগামীতে আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ জানান, গত বুধবার শিশু হাসপাতালে ৮ জন শিশু ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এখন মোট ভর্তি আছে ৩৬ জন। আইসিইউতে আছে ৩ জন। এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৭৮০ জন শিশু। মারা গেছে ১১ জন শিশু। আর বহিঃবিভাগে প্রতিদিন অনেক শিশুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে।

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১ , ২৩ আশ্বিন ১৪২৮ ৩০ সফর ১৪৪৩

থামছে না ডেঙ্গু ৭ দিনে আক্রান্ত ১৩৪৭ জন, মৃত্যু ৪

২৪ ঘন্টায় আরও ২০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

থামছে না ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব। প্রতিদিন এই মশার কামড়ে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। পহেলা অক্টোবর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩৪৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। এভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কবে মশার উপদ্রব কমবে তা নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে না পারলেও কীটতত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শীত পড়লে মশার উপদ্রব কিছুটা কমবে বলে আশাবাদি। আর পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার বিস্তার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সারাদেশে এ মশার উপদ্রব ধ্বংস করতে হবে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন নেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ১৭৩ জন। ঢাকার বাইরে ৩৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪৪ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৮ জন। মারা গেছে ৭৩ জন। এখনও ভর্তি আছে ৮৭৩ জন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে তাদের সংখ্যাই আছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তারা ডাক্তারদের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হিসেবে নেই। আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইউরোপ ও ভারতসহ অনেক দেশে এডিস মশা দমনে আলাদা বিভাগ আছে। ওই বিভাগের আলাদা বাজেট থাকে। মশা দমনে আলাদা জনবল আছে। তারা বছরজুড়ে এলাকা ভিত্তিক মশা দমন করে। বাংলাদেশে এই পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। না হয় মশা দমন করা আগামীতে আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ জানান, গত বুধবার শিশু হাসপাতালে ৮ জন শিশু ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এখন মোট ভর্তি আছে ৩৬ জন। আইসিইউতে আছে ৩ জন। এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৭৮০ জন শিশু। মারা গেছে ১১ জন শিশু। আর বহিঃবিভাগে প্রতিদিন অনেক শিশুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে।