ব্যবসায়ীর ভুল কীটনাশকে পুড়ল ধান : অজ্ঞান প্রতিবন্ধী কৃষক

কিশোরগঞ্জে ভুল কীটনাশকে এক বাকপ্রতিবন্ধী কৃষকের ৭০ শতাংশ আমন জমি পুড়ে গেছে। জমিতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান কৃষক। পরে তাকে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করাত হয়। সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের চারিয়াকান্দি গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে কাঞ্চন মিয়ার জমিতে ঘটেছে এ ঘটনা।

এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মানছুরা আক্তার জানান, এলাকার মাঠেরবাজার থেকে লাইসেন্সবিহীন কীটনাশক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের দোকান থেকে কৃষক কাঞ্চন মিয়া কয়েক দিন আগে মাজরা পোকার জন্য কীটনাশক নেন। আলাউদ্দিনের কীটনাশক বিষয়ে কোন ধারণা নেই। তিনি ভুল কীটনাশক দেওয়ায় জমির ধান পুড়ে গেছে। জানতে পেরে আরও দু’জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে জমিটি পরিদর্শন করেন মানছুরা আক্তার। তবে কৃষক কাঞ্চন মিয়া কীটনাশকের বোতলটি সংরক্ষণ করেননি।

এছাড়া তিনি বাক প্রতিবন্ধী। ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনও কীটনাশকের নাম বলছেন না। ফলে জানা সম্ভব হয়নি, কোন কোম্পানির কোন কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।

মানছুরা আক্তার বলেন, দরিদ্র কৃষক কাঞ্চন মিয়া ধান পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে জমিতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। এরপর তাকে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করতে হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলম সংবাদকে জানান, তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ব্যবসায়ীর ভুল কীটনাশকে পুড়ল ধান : অজ্ঞান প্রতিবন্ধী কৃষক

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

image

কিশোরগঞ্জ : ভুল কীটনাশকে পুড়ে যাওয়া জমির আমন ধান। ইনসেটে বাকপ্রতিবন্ধী কৃষক -সংবাদ

কিশোরগঞ্জে ভুল কীটনাশকে এক বাকপ্রতিবন্ধী কৃষকের ৭০ শতাংশ আমন জমি পুড়ে গেছে। জমিতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান কৃষক। পরে তাকে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করাত হয়। সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের চারিয়াকান্দি গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে কাঞ্চন মিয়ার জমিতে ঘটেছে এ ঘটনা।

এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মানছুরা আক্তার জানান, এলাকার মাঠেরবাজার থেকে লাইসেন্সবিহীন কীটনাশক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের দোকান থেকে কৃষক কাঞ্চন মিয়া কয়েক দিন আগে মাজরা পোকার জন্য কীটনাশক নেন। আলাউদ্দিনের কীটনাশক বিষয়ে কোন ধারণা নেই। তিনি ভুল কীটনাশক দেওয়ায় জমির ধান পুড়ে গেছে। জানতে পেরে আরও দু’জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে জমিটি পরিদর্শন করেন মানছুরা আক্তার। তবে কৃষক কাঞ্চন মিয়া কীটনাশকের বোতলটি সংরক্ষণ করেননি।

এছাড়া তিনি বাক প্রতিবন্ধী। ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনও কীটনাশকের নাম বলছেন না। ফলে জানা সম্ভব হয়নি, কোন কোম্পানির কোন কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।

মানছুরা আক্তার বলেন, দরিদ্র কৃষক কাঞ্চন মিয়া ধান পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে জমিতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। এরপর তাকে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করতে হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলম সংবাদকে জানান, তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।