জুমার নামাজের সময় এই হামলা চালানো হয়
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে হতাহত শতাধিক। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লাশ উদ্ধার করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। গতকাল জুমার নামাজের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। - বিবিসি।
বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সাঈদ খোস্তি। তিনি বলেন, এই মসজিদটিতে অধিকাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ পড়তেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, জুমার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া মসজিদের মেঝেতে অনেকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ী জালমাই আলোকজাই ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের রক্ত দেয়ার জন্য দ্রুত প্রাদেশিক হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি হাসপাতালের ভয়াবহ দৃশ্য বর্ণনা করেন, ‘আমি ৪০টিরও বেশি মৃতদেহ দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতরা দফায় দফায় ফিরে আসছে।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, গোজার-ই- সৈয়দ আবাদ মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক মুসল্লি হতাহত হয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। মৃতদের বহন করার জন্য এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসে কর্মরত একজন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কর্মী মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শত শত মানুষ হাসপাতালের মূল ফটকে ভিড় করে স্বজনদের জন্য কান্নাকাটি করছেন। তবে সশস্ত্র তালেবান বাহিনী পুনরায় বিস্ফোরণের আশঙ্কায় মানুষকে একত্র হতে বাধা দিচ্ছে।’ তালেবান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই হামলা আইএস করে থাকে, তাহলে তাদের কঠিন জবাব দেয়া হবে। এর মধ্যে আইএসের বেশ কয়েক জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এদিকে বিস্ফোরণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ও ভিড়িও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, মসজিদের মেঝেতে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় পুরুষরা নারী ও শিশুদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
জুমার নামাজের সময় এই হামলা চালানো হয়
সংবাদ ডেস্ক
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে হতাহত শতাধিক। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লাশ উদ্ধার করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। গতকাল জুমার নামাজের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। - বিবিসি।
বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সাঈদ খোস্তি। তিনি বলেন, এই মসজিদটিতে অধিকাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ পড়তেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, জুমার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া মসজিদের মেঝেতে অনেকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ী জালমাই আলোকজাই ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের রক্ত দেয়ার জন্য দ্রুত প্রাদেশিক হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি হাসপাতালের ভয়াবহ দৃশ্য বর্ণনা করেন, ‘আমি ৪০টিরও বেশি মৃতদেহ দেখেছি। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতরা দফায় দফায় ফিরে আসছে।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, গোজার-ই- সৈয়দ আবাদ মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক মুসল্লি হতাহত হয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। মৃতদের বহন করার জন্য এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসে কর্মরত একজন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কর্মী মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শত শত মানুষ হাসপাতালের মূল ফটকে ভিড় করে স্বজনদের জন্য কান্নাকাটি করছেন। তবে সশস্ত্র তালেবান বাহিনী পুনরায় বিস্ফোরণের আশঙ্কায় মানুষকে একত্র হতে বাধা দিচ্ছে।’ তালেবান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই হামলা আইএস করে থাকে, তাহলে তাদের কঠিন জবাব দেয়া হবে। এর মধ্যে আইএসের বেশ কয়েক জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এদিকে বিস্ফোরণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ও ভিড়িও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, মসজিদের মেঝেতে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় পুরুষরা নারী ও শিশুদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।