বাংলাদেশের করোনা টিকার সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা বা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ইউরোপিয় অঞ্চলে উৎপাদিত টিকা যুক্তরাজ্যে আগে থেকেই স্বীকৃত ছিল। তবে বাংলাদেশে ব্যবহৃত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতের উৎপাদিত হওয়ায় এর সনদের স্বীকৃতি নিয়ে জটিলতা ছিল। এবার এই টিকা গ্রহণকারীদের বাংলাদেশ সরকারের দেয়া টিকা সনদের অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের দেয়া কোভিশিল্ড টিকার সনদ গ্রহণ করবে যুক্তরাজ্য সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিল এবং ফলশ্রুতিতে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হলো।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে যারা যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধান ছিল।
ব্রিটেনের পরিবহন বিভাগ এক ঘোষণায় জানায়, ব্রিটেনের অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকার তালিকা ও সনদ স্বীকৃতিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে স্বীকৃতির এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ অক্টোবর ভোর ৪টা থেকে যেসব ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে অনুমোদিত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের আর ১০ দিনের হোটেল বা বাড়িতে কোয়ারেন্টিন এবং ভ্রমণ শুরুর আগে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। তবে ইংলান্ডে পৌঁছানোর দুইদিন পর তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে সব ভ্রমণকারীরই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেয়া ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়বে। তবে যেসব ভ্রমণকারী যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত ভ্যাকসিনের পূর্ণ দুই ডোজ গ্রহণ করেননি, তাদের অবশ্যই ১০ দিনের হোটেল বা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া দ্বিতীয় এবং অষ্টম দিনে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উষ্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন আর দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন এবং প্রয়োজনীয় ভ্রমণের বাধা নিরসনে হাইকমিশনের অব্যাহত চেষ্টার ফলাফল।’
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ সুখবর দিয়েছেন। বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশন এখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত। আমাদের মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছে এবং এখন তারা আমাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি সোমবার সকাল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।’
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকারের লাল তালিকা থেকে সরে যায় বাংলাদেশের নাম। গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশের করোনা টিকার সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গতকাল যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা বা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ইউরোপিয় অঞ্চলে উৎপাদিত টিকা যুক্তরাজ্যে আগে থেকেই স্বীকৃত ছিল। তবে বাংলাদেশে ব্যবহৃত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতের উৎপাদিত হওয়ায় এর সনদের স্বীকৃতি নিয়ে জটিলতা ছিল। এবার এই টিকা গ্রহণকারীদের বাংলাদেশ সরকারের দেয়া টিকা সনদের অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের দেয়া কোভিশিল্ড টিকার সনদ গ্রহণ করবে যুক্তরাজ্য সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিল এবং ফলশ্রুতিতে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হলো।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে যারা যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধান ছিল।
ব্রিটেনের পরিবহন বিভাগ এক ঘোষণায় জানায়, ব্রিটেনের অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকার তালিকা ও সনদ স্বীকৃতিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে স্বীকৃতির এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ অক্টোবর ভোর ৪টা থেকে যেসব ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে অনুমোদিত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের আর ১০ দিনের হোটেল বা বাড়িতে কোয়ারেন্টিন এবং ভ্রমণ শুরুর আগে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। তবে ইংলান্ডে পৌঁছানোর দুইদিন পর তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে সব ভ্রমণকারীরই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেয়া ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়বে। তবে যেসব ভ্রমণকারী যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত ভ্যাকসিনের পূর্ণ দুই ডোজ গ্রহণ করেননি, তাদের অবশ্যই ১০ দিনের হোটেল বা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া দ্বিতীয় এবং অষ্টম দিনে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উষ্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন আর দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন এবং প্রয়োজনীয় ভ্রমণের বাধা নিরসনে হাইকমিশনের অব্যাহত চেষ্টার ফলাফল।’
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ সুখবর দিয়েছেন। বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশন এখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত। আমাদের মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছে এবং এখন তারা আমাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি সোমবার সকাল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।’
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকারের লাল তালিকা থেকে সরে যায় বাংলাদেশের নাম। গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।