শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ করে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অব্যবস্থাপনায় বিরক্ত এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন’। সংগঠনটি নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ করে প্যানেলভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করার দাবি জানিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি আমির আসহার, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সুজাউর রহমান, সহ-সভাপতি ফারহানা আজাদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) উদ্দেশ্য ছিল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নির্বাচন করা। তখন সনদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সনদ পেলেও সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ২০১৩ সালের সনদের মেয়াদ পাঁচ বছর বাদ দিয়ে আজীবন করা হলে ম্যানেজিং কমিটি নামমাত্র পরীক্ষা নিয়ে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে এগিয়ে রাখা হতো। নিয়োগ পরীক্ষায় নিবন্ধন মার্ক কোন বিষয় ছিল না। এছাড়াও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বারবার নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন ফি বাবদ বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

তারা আরও বলেন, এই অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের জন্য ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দিলে তাতে নতুন গেজেট দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিয়োগবঞ্চিত হয়ে ১-১২তমদের কিছু অংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রিট করেন। এতে আটকে যায় ১৩তমদের নিয়োগ সুপারিশের কার্যক্রম। আবার ১৩তমদের একদল আন্দোলন করে আদালতের দ্বারস্থ হন এবং রিট করেন।

‘প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের’ নেতারা বলেন, পরবর্তীতে এনটিআরসিএর দেয়া ২০১৮ সালের দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের আবেদনের সুযোগ রাখা হয় না। ফলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নিবন্ধনধারী। পরে আবার কোর্টের রায়ে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নিবন্ধনধারীদের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়। এনটিআরসিএর এই অব্যবস্থাপনা ও অদূরদর্শিতার কারণে নিবন্ধনধারীরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ করে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অব্যবস্থাপনায় বিরক্ত এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন’। সংগঠনটি নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ করে প্যানেলভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করার দাবি জানিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি আমির আসহার, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সুজাউর রহমান, সহ-সভাপতি ফারহানা আজাদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) উদ্দেশ্য ছিল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নির্বাচন করা। তখন সনদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সনদ পেলেও সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ২০১৩ সালের সনদের মেয়াদ পাঁচ বছর বাদ দিয়ে আজীবন করা হলে ম্যানেজিং কমিটি নামমাত্র পরীক্ষা নিয়ে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে এগিয়ে রাখা হতো। নিয়োগ পরীক্ষায় নিবন্ধন মার্ক কোন বিষয় ছিল না। এছাড়াও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বারবার নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন ফি বাবদ বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

তারা আরও বলেন, এই অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের জন্য ২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দিলে তাতে নতুন গেজেট দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিয়োগবঞ্চিত হয়ে ১-১২তমদের কিছু অংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রিট করেন। এতে আটকে যায় ১৩তমদের নিয়োগ সুপারিশের কার্যক্রম। আবার ১৩তমদের একদল আন্দোলন করে আদালতের দ্বারস্থ হন এবং রিট করেন।

‘প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের’ নেতারা বলেন, পরবর্তীতে এনটিআরসিএর দেয়া ২০১৮ সালের দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের আবেদনের সুযোগ রাখা হয় না। ফলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নিবন্ধনধারী। পরে আবার কোর্টের রায়ে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নিবন্ধনধারীদের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়। এনটিআরসিএর এই অব্যবস্থাপনা ও অদূরদর্শিতার কারণে নিবন্ধনধারীরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।