তাইওয়ানকে একত্র করার ঘোষণা চীনা প্রেসিডেন্টের

তাইওয়ানের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে পুনর্মিলনের’ ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাইওয়ানকে মাতৃভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একত্র করার ঐতিহাসিক কাজটি সম্পন্ন করা উচিত, তা অবশ্যই করা হবে। চীন বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকীর স্মরণে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে এমন বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট শি।

শি’র এমন মন্তব্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, এই দ্বীপটির ভবিষ্যৎ তাইওয়ানের জণগণের হাতে।

চীন-তাইওয়ানের সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার শি জিনপিং বলেন, ‘এক দেশ-দুই ব্যবস্থা’ নীতির অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে একত্র দেখতে চাই। যে ব্যবস্থা হংকংয়েও চালু আছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া একত্রীকরণে এবং জাতীয় পুনরুজ্জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা মনে করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

শি আরও বলেন, ‘যারা নিজেদের ঐতিহ্য ভুলে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এবং দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করে তাদের প্রচেষ্টা কাজে আসবে না।’

তবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলেছে, ‘এক দেশে দুই নীতি’ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তাইওয়ানের জনমু খুবই স্পষ্ট। এছাড়া বেইজিংকে তাইওয়ান ভূখ-ে ‘অনুপ্রবেশ, হয়রানি ও ধ্বংসের উত্তেজনাকর পদক্ষেপ’ পরিত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

তাইওয়ানকে নিজেদের দ্বীপ অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে চীন। যদিও তাইওয়ান নিজেদের আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে বলে আসছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোন এলাকায় একাধিকবার চীনের যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করে। ফলে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১ , ২৫ আশ্বিন ১৪২৮ ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

তাইওয়ানকে একত্র করার ঘোষণা চীনা প্রেসিডেন্টের

image

তাইওয়ানের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে পুনর্মিলনের’ ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাইওয়ানকে মাতৃভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একত্র করার ঐতিহাসিক কাজটি সম্পন্ন করা উচিত, তা অবশ্যই করা হবে। চীন বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকীর স্মরণে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে এমন বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট শি।

শি’র এমন মন্তব্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, এই দ্বীপটির ভবিষ্যৎ তাইওয়ানের জণগণের হাতে।

চীন-তাইওয়ানের সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার শি জিনপিং বলেন, ‘এক দেশ-দুই ব্যবস্থা’ নীতির অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে একত্র দেখতে চাই। যে ব্যবস্থা হংকংয়েও চালু আছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া একত্রীকরণে এবং জাতীয় পুনরুজ্জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা মনে করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

শি আরও বলেন, ‘যারা নিজেদের ঐতিহ্য ভুলে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এবং দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করে তাদের প্রচেষ্টা কাজে আসবে না।’

তবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলেছে, ‘এক দেশে দুই নীতি’ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তাইওয়ানের জনমু খুবই স্পষ্ট। এছাড়া বেইজিংকে তাইওয়ান ভূখ-ে ‘অনুপ্রবেশ, হয়রানি ও ধ্বংসের উত্তেজনাকর পদক্ষেপ’ পরিত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

তাইওয়ানকে নিজেদের দ্বীপ অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে চীন। যদিও তাইওয়ান নিজেদের আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে বলে আসছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোন এলাকায় একাধিকবার চীনের যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করে। ফলে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।