সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠিত হবে আইনমন্ত্রী

আগামী নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে। সার্চ কমিটিও আইনের কাছাকাছি। এবার এই সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এরপর আইনে যাওয়া হবে। কারণ, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোন তর্কের অবকাশ নেই। কারণ, এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। আর সুপ্রিম কোর্টের রায় যখন মানা হয়, তখন নিজেদের গর্বিত মনে হয়। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন আইনমন্ত্রী।

শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তিতে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি সরকারের হাতে নেই বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলায় যদি জয়ী হন, তাহলে তার স্থায়ী মুক্তি হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত নেপথ্যের মদদদাতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।

তিনি বলেন, কমিশন গঠনের বিষয়ে উদ্যোগও ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। এই কমিশন হচ্ছে, বিকৃত ইতিহাসকে ফেলে দিয়ে সত্য ইতিহাসকে সঠিক পথে চালিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটি জানানো। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে গত ১২ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে বিচার বিভাগ অনেকটাই মুক্ত।

সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১ , ২৬ আশ্বিন ১৪২৮ ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠিত হবে আইনমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আগামী নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে। সার্চ কমিটিও আইনের কাছাকাছি। এবার এই সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এরপর আইনে যাওয়া হবে। কারণ, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোন তর্কের অবকাশ নেই। কারণ, এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। আর সুপ্রিম কোর্টের রায় যখন মানা হয়, তখন নিজেদের গর্বিত মনে হয়। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন আইনমন্ত্রী।

শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তিতে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি সরকারের হাতে নেই বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলায় যদি জয়ী হন, তাহলে তার স্থায়ী মুক্তি হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত নেপথ্যের মদদদাতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।

তিনি বলেন, কমিশন গঠনের বিষয়ে উদ্যোগও ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। এই কমিশন হচ্ছে, বিকৃত ইতিহাসকে ফেলে দিয়ে সত্য ইতিহাসকে সঠিক পথে চালিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটি জানানো। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে গত ১২ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে বিচার বিভাগ অনেকটাই মুক্ত।