চীনে বন্যায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

চীনের সাংহাই প্রদেশে বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, বন্যায় সাংহাইয়ের ১৭ লাখ ৬০ হাজারের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহেও মুষলধারে বৃষ্টি হয় প্রদেশটিতে। এতে ৭০টির বেশি জেলায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনাও। কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। তিন মাস আগেও দেশটির হেনান প্রদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বহু ঘরবাড়ি, স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়। চীনের আবহাওয়াবিষয়ক প্রশাসন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, ভারী ও দীর্ঘ বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিকে জানায়, এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুনর্বাসিত করা হয়েছে। সাংহাই প্রদেশজুড়ে ১৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানায় তারা। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গে�াবাল টাইমস জানিয়েছে, ভূমিধসে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। যদিও আর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের শুরুতে হেনান প্রদেশের বন্যায় বিপর্যস্ত হওয়ার চেয়ে খারাপ অবস্থা হতে পারে সাংহাইয়ের। প্রাদেশিক রাজধানী তাইয়ুয়ানে গত সপ্তাহে প্রায় ১৮৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা ১৯৮১ সাল ও ২০১০ সালের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙেছে। তাইযুযানে উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। আটকা পড়া মানুষদের মেগাফোনের মাধ্যমে সতর্ক করে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন তারা। সাংহাই চীনের প্রধান কয়লা উৎপাদনকারী প্রদেশ এবং বৃষ্টির কারণে চীন সরকার উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। যদিও দেশটিতে জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। কারণ দেশটির সরকার বন্দর ও কারখানায় কয়লার ব্যবহার কমিয়ে এনেছে। স্থানীয় সরকার জানায়, প্রদেশের অন্তত ৬০টি কয়লার খনি, ৩৭২টি খনি ও ১২টি বিপজ্জনক রাসায়নিক কারখানার উৎপাদন স্থগিত রাখা হয়েছে। ৪ অক্টোবরের পর এরই মধ্যে ২৭টি কয়লার খনি বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, বৃষ্টির কারণে সাংহায়ের প্রাচীন বেশ কয়েকটি মনুমেন্টও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১ , ২৭ আশ্বিন ১৪২৮ ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চীনে বন্যায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

image

বন্যা-কবলিত এলাকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রায় নিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীরা -রয়টার্স

চীনের সাংহাই প্রদেশে বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, বন্যায় সাংহাইয়ের ১৭ লাখ ৬০ হাজারের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহেও মুষলধারে বৃষ্টি হয় প্রদেশটিতে। এতে ৭০টির বেশি জেলায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনাও। কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। তিন মাস আগেও দেশটির হেনান প্রদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বহু ঘরবাড়ি, স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়। চীনের আবহাওয়াবিষয়ক প্রশাসন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, ভারী ও দীর্ঘ বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিকে জানায়, এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুনর্বাসিত করা হয়েছে। সাংহাই প্রদেশজুড়ে ১৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানায় তারা। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গে�াবাল টাইমস জানিয়েছে, ভূমিধসে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। যদিও আর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের শুরুতে হেনান প্রদেশের বন্যায় বিপর্যস্ত হওয়ার চেয়ে খারাপ অবস্থা হতে পারে সাংহাইয়ের। প্রাদেশিক রাজধানী তাইয়ুয়ানে গত সপ্তাহে প্রায় ১৮৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা ১৯৮১ সাল ও ২০১০ সালের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙেছে। তাইযুযানে উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। আটকা পড়া মানুষদের মেগাফোনের মাধ্যমে সতর্ক করে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন তারা। সাংহাই চীনের প্রধান কয়লা উৎপাদনকারী প্রদেশ এবং বৃষ্টির কারণে চীন সরকার উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। যদিও দেশটিতে জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। কারণ দেশটির সরকার বন্দর ও কারখানায় কয়লার ব্যবহার কমিয়ে এনেছে। স্থানীয় সরকার জানায়, প্রদেশের অন্তত ৬০টি কয়লার খনি, ৩৭২টি খনি ও ১২টি বিপজ্জনক রাসায়নিক কারখানার উৎপাদন স্থগিত রাখা হয়েছে। ৪ অক্টোবরের পর এরই মধ্যে ২৭টি কয়লার খনি বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, বৃষ্টির কারণে সাংহায়ের প্রাচীন বেশ কয়েকটি মনুমেন্টও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।