খুলে দেয়া হলো জাবির সব হল ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ

দীর্ঘ ৫৭০ দিন বন্ধ থাকার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় হল কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশের আমেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

সরেজমিনে বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাবার ও ফুল দেয়া হচ্ছে। তবে হলে প্রবেশের আগে করোনা টিকার সনদ দেখাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যাদের করোনা টিকার সনদ নেই, তাদের একটা ফর্ম পূরণ সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা।

উদ্বোধনের পর মীরজাদী সেব্রিনা সাংবাদিকদের বলেন, করোনা টিকা নিলে টিকা গ্রহণের সনদ দেয়ার একটি বিষয় রয়েছে। সে জন্যই মূলত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা। রেজিস্ট্রেশনের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশ্লিষ্ট। সে জন্য যাদের এনআইডি আছে, প্রাথমিকভাবে তাদেরকে টিকা দেয়া হচ্ছে। যাদের এনআইডি নেই, তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাদের দুটোর কোনটাই নেই, তাদেরকে অনুরোধ করব- তারা যেন শীঘ্রই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে টিকার আওতায় আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী এক ডোজ পেয়েছেন এবং ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোন ডোজই পাননি। প্রায় ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় টিকা নিতে পারেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার শামছুর রহমান বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ বর্তমান শিক্ষার্থী, তারা হল প্রাধ্যক্ষের সত্যায়নক্রমে টিকা গ্রহণ করতে পারবে। টিকা গ্রহণের জন্য হল আইডি কার্ডের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্টের কপি দেখাতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ করতে পারবে না।

অস্থায়ী বুথের এই টিকা কার্যক্রম সমন্বয় করছেন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক এ এ মামুন। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনও টিকার আওতায় আসেনি। আমরা এই অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে চাই। এখন টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে। আমাদের এই কার্যক্রম আপাতত তিনদিন চলবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে আবারও ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। তবে যদি কারও প্রথম ডোজ দিতে বাকি থাকে, তবে আবার যখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে তখন সেসব শিক্ষার্থীরা প্রথম ডোজ নিতে পারবেন।

এদিকে আবাসিক হলের ডাইনিং, ক্যান্টিনে তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য তিন বেলার খাবারের ব্যবস্থা করতে খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া।

তিন বেলার খাবারের পাশাপাশি থাকবে বিকেলের নাস্তা ও চা। ক্যাফেটেরিয়ায় মাত্র ১০ টাকায় মিলবে খিচুড়ি। ভাত ছয় টাকায়, সবজি পাঁচ টাকায়, ডাল পাঁচ টাকায়, মুরগির মাংস ৩০ টাকায়, মাছ ২৫ টাকায়, ডিম ১৫ টাকায়। বিশেষ দিনে থাকবে তেহারি, পোলাও ও গরুর মাংস। এছাড়া ১২ টাকায় পাওয়া যাবে পানি ও ঠা-া পানীয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চালু করেছি। এখানে তিন বেলা শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পারবে। খাবারের মান উন্নয়ন এবং মূল্য কমানোর ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখব। কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় প্রতিদিন কয়েকশ শিক্ষার্থীর জন্য খাবার প্রস্তত করা হবে বলেও জানান তিনি।

এতদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পারার আনন্দে এই বিষয়ে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৬তম আবর্তন) ছাত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন বলেন, দীর্ঘদিনের বন্ধ কাটানোর পর হলে উঠে সত্যি খুব ভালো লাগছে। অনেকদিন পর হলমেটদের সঙ্গে দেখা হলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে রুমে ধুলাবালি পড়েছে অনেক, হলের কর্মচারী এবং নিজদের সব নতুন করে গুছিয়ে নিতে হচ্ছে। আবারও হলের পরিবেশে ফিরতে পেরে ঈদের খুশি অনুভুত হচ্ছে।

ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র (৪৭তম আবর্তন) শেখ তাজুল ইসলাম বলেন, হলে ওঠার অনুভূতি বলতে গেলে অনেকদিন পর হলের বড়ভাই, বন্ধু, ছোট ভাইদের সঙ্গে দেখা, তাদের করোনা জয়ের গল্প শোনা, সুখ-দুঃখের অনুভূতিগুলো শেয়ার করা, একই সঙ্গে অনেকের সঙ্গে আর না দেখা হওয়ার গল্পও আছে। যেমন, আমার হলের ৪৪তম আবর্তনের এক ভাই মারা গেছেন করোনায়। হলে আর কখনও তাকে দেখতে পাব না, সেই অনুভূতিও আসলে আমাকে ব্যাথিত করে। তাছাড়া হলের গন্ধ, আমেজ একটু আলাদাই। সবার সঙ্গে একসঙ্গে আড্ডা হবে হয়তো কিছুদিন পর। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাক এই কমানাই থাকবে।

image

গতকাল খুলেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলো, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয় ফুল দিয়ে -সংবাদ

আরও খবর
আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন প্রকাশ
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন
সিআইডির নজরদারিতে ৩০ ই-কমার্স
ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
ভাইবোনের ফাঁদ : পল্লবীতে ব্ল্যাকমেইলের কারবার
অভিনেতা, নাট্যকার শিক্ষক ইনামুল হকের জীবনাবসান
ধর্ষণ মামলায় সাফাতসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রায় আজ
‘বিরতিহীন’ ৩৫ বছরের শিক্ষকতায় ইতি টানলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস
এক ঘণ্টার পৌর মেয়র কিশোরী হুমাইরা

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১ , ২৭ আশ্বিন ১৪২৮ ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

খুলে দেয়া হলো জাবির সব হল ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ

প্রতিনিধি, জাবি

image

গতকাল খুলেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলো, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয় ফুল দিয়ে -সংবাদ

দীর্ঘ ৫৭০ দিন বন্ধ থাকার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় হল কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশের আমেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

সরেজমিনে বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাবার ও ফুল দেয়া হচ্ছে। তবে হলে প্রবেশের আগে করোনা টিকার সনদ দেখাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যাদের করোনা টিকার সনদ নেই, তাদের একটা ফর্ম পূরণ সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা।

উদ্বোধনের পর মীরজাদী সেব্রিনা সাংবাদিকদের বলেন, করোনা টিকা নিলে টিকা গ্রহণের সনদ দেয়ার একটি বিষয় রয়েছে। সে জন্যই মূলত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা। রেজিস্ট্রেশনের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশ্লিষ্ট। সে জন্য যাদের এনআইডি আছে, প্রাথমিকভাবে তাদেরকে টিকা দেয়া হচ্ছে। যাদের এনআইডি নেই, তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাদের দুটোর কোনটাই নেই, তাদেরকে অনুরোধ করব- তারা যেন শীঘ্রই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে টিকার আওতায় আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী এক ডোজ পেয়েছেন এবং ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোন ডোজই পাননি। প্রায় ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় টিকা নিতে পারেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার শামছুর রহমান বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ বর্তমান শিক্ষার্থী, তারা হল প্রাধ্যক্ষের সত্যায়নক্রমে টিকা গ্রহণ করতে পারবে। টিকা গ্রহণের জন্য হল আইডি কার্ডের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদ অথবা পাসপোর্টের কপি দেখাতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ করতে পারবে না।

অস্থায়ী বুথের এই টিকা কার্যক্রম সমন্বয় করছেন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক এ এ মামুন। তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনও টিকার আওতায় আসেনি। আমরা এই অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে চাই। এখন টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে। আমাদের এই কার্যক্রম আপাতত তিনদিন চলবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে আবারও ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। তবে যদি কারও প্রথম ডোজ দিতে বাকি থাকে, তবে আবার যখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে তখন সেসব শিক্ষার্থীরা প্রথম ডোজ নিতে পারবেন।

এদিকে আবাসিক হলের ডাইনিং, ক্যান্টিনে তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য তিন বেলার খাবারের ব্যবস্থা করতে খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া।

তিন বেলার খাবারের পাশাপাশি থাকবে বিকেলের নাস্তা ও চা। ক্যাফেটেরিয়ায় মাত্র ১০ টাকায় মিলবে খিচুড়ি। ভাত ছয় টাকায়, সবজি পাঁচ টাকায়, ডাল পাঁচ টাকায়, মুরগির মাংস ৩০ টাকায়, মাছ ২৫ টাকায়, ডিম ১৫ টাকায়। বিশেষ দিনে থাকবে তেহারি, পোলাও ও গরুর মাংস। এছাড়া ১২ টাকায় পাওয়া যাবে পানি ও ঠা-া পানীয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চালু করেছি। এখানে তিন বেলা শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পারবে। খাবারের মান উন্নয়ন এবং মূল্য কমানোর ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখব। কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় প্রতিদিন কয়েকশ শিক্ষার্থীর জন্য খাবার প্রস্তত করা হবে বলেও জানান তিনি।

এতদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পারার আনন্দে এই বিষয়ে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৬তম আবর্তন) ছাত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন বলেন, দীর্ঘদিনের বন্ধ কাটানোর পর হলে উঠে সত্যি খুব ভালো লাগছে। অনেকদিন পর হলমেটদের সঙ্গে দেখা হলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে রুমে ধুলাবালি পড়েছে অনেক, হলের কর্মচারী এবং নিজদের সব নতুন করে গুছিয়ে নিতে হচ্ছে। আবারও হলের পরিবেশে ফিরতে পেরে ঈদের খুশি অনুভুত হচ্ছে।

ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র (৪৭তম আবর্তন) শেখ তাজুল ইসলাম বলেন, হলে ওঠার অনুভূতি বলতে গেলে অনেকদিন পর হলের বড়ভাই, বন্ধু, ছোট ভাইদের সঙ্গে দেখা, তাদের করোনা জয়ের গল্প শোনা, সুখ-দুঃখের অনুভূতিগুলো শেয়ার করা, একই সঙ্গে অনেকের সঙ্গে আর না দেখা হওয়ার গল্পও আছে। যেমন, আমার হলের ৪৪তম আবর্তনের এক ভাই মারা গেছেন করোনায়। হলে আর কখনও তাকে দেখতে পাব না, সেই অনুভূতিও আসলে আমাকে ব্যাথিত করে। তাছাড়া হলের গন্ধ, আমেজ একটু আলাদাই। সবার সঙ্গে একসঙ্গে আড্ডা হবে হয়তো কিছুদিন পর। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাক এই কমানাই থাকবে।