জি-২০ সম্মেলনে আফগানিস্তান ইস্যু প্রাধান্য পাবে

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে তালেবান অধিকৃত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মানবতার প্রয়োজন ও আফগান জনগণের ন্যূনতম চাহিদাসংক্রান্ত বিষয় সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার, উদ্বাস্তু সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার কথা রয়েছে।

ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগানিস্তানের তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে। এ ইস্যুতে মঙ্গলবার জি ২০ জোটভুক্ত দেশগুলো নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

জোটের বর্তমান সভাপতি ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এমনটাই জানিয়েছে দেশটির বিদেশ মন্ত্রক।

আফগানিস্তান ইস্যুতে এ সম্মেলন আন্তর্জাতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে তালেবান অধীকৃত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মানবুার প্রয়োজন ও আফগান জনগণের ন্যূনতম চাহিদাসংক্রান্ত বিষয় সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার, উদ্বাস্তু সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার কথা রয়েছে।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এর আগে আফগানিস্তান ইস্যুতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) এবং কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় আফগানিস্তান নিয়ে জি ২০ জোটের দেশগুলো বিদেশ মন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মারিও দ্রাঘি বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে এই সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রোমে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি ২০ নেুাদের বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ আগে এ সামিট অনুষ্ঠিত হবে।

বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো নিয়ে গঠিত জি ২০ ঐকমত্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আফগানিস্তানে মানবতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জি ২০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী জোটের সভাপতি মারিও দ্রাঘি এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আফগানিস্তানে মানবতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন।

তিনি মনে করেন, এ সংকটের পরিস্থিতিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর উচিত আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানো। আফগানিস্তানের মসনদে তালেবান বসার পর থেকেই দেশের জনগণ ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমেই আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ বাঙছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

দ্রাঘি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘জি ২০ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে আফগানিস্তানের জনগণের প্রাণ বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’

বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১ , ২৮ আশ্বিন ১৪২৮ ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

জি-২০ সম্মেলনে আফগানিস্তান ইস্যু প্রাধান্য পাবে

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে তালেবান অধিকৃত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মানবতার প্রয়োজন ও আফগান জনগণের ন্যূনতম চাহিদাসংক্রান্ত বিষয় সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার, উদ্বাস্তু সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার কথা রয়েছে।

ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগানিস্তানের তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে। এ ইস্যুতে মঙ্গলবার জি ২০ জোটভুক্ত দেশগুলো নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

জোটের বর্তমান সভাপতি ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এমনটাই জানিয়েছে দেশটির বিদেশ মন্ত্রক।

আফগানিস্তান ইস্যুতে এ সম্মেলন আন্তর্জাতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে তালেবান অধীকৃত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মানবুার প্রয়োজন ও আফগান জনগণের ন্যূনতম চাহিদাসংক্রান্ত বিষয় সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার, উদ্বাস্তু সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার কথা রয়েছে।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এর আগে আফগানিস্তান ইস্যুতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) এবং কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় আফগানিস্তান নিয়ে জি ২০ জোটের দেশগুলো বিদেশ মন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মারিও দ্রাঘি বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে এই সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রোমে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি ২০ নেুাদের বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ আগে এ সামিট অনুষ্ঠিত হবে।

বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো নিয়ে গঠিত জি ২০ ঐকমত্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আফগানিস্তানে মানবতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জি ২০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী জোটের সভাপতি মারিও দ্রাঘি এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আফগানিস্তানে মানবতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন।

তিনি মনে করেন, এ সংকটের পরিস্থিতিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর উচিত আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানো। আফগানিস্তানের মসনদে তালেবান বসার পর থেকেই দেশের জনগণ ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমেই আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ বাঙছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

দ্রাঘি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘জি ২০ সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে আফগানিস্তানের জনগণের প্রাণ বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’