পোল্ট্রি ফিড ও পশুখাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সয়ামিল রপ্তানি বন্ধ

পোল্ট্রি ফিড ও পশুর খাদ্য তৈরির অন্যতম উপাদান সয়ামিল রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে সরকার। দেশে পোল্ট্রি ফিড ও পশুখাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে এ বিষয়ে আদেশেও পাঠানো হয়েছে।

আজ থেকে এ আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। তবে আদেশে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে যেসব এলসি ও টিটি সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো ২০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির কাজ শেষের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।

বেশ কিছুদিন থেকে দেশে মুরগির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। খাবার ও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন বলে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি। এর মধ্যে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সয়ামিল রপ্তানি শুরু হয়। পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ এ কাঁচামাল রপ্তানি শুরুর পর থেকে দেশের বাজারে এ পণ্যের দাম বাড়তে থাকে।

তখন থেকেই পোল্ট্রি খামারিরা সয়ামিল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাণিখাদ্য তৈরির প্রধান এ উপকরণের ‘কৃত্রিম সংকট’ সৃষ্টির অভিযোগ এনে এর রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

গতকালও কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা একমাস আগেও ১২০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে পাকিস্তানি কক মুরগি (সোনালিকা) ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬০ টাকা হয়েছে। লেয়ার মুরগির দাম ১৯০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস এখন প্রতি কেজি ৬০০ টাকা করে, যা ছয় মাস আগেও ৫৫০ টাকা ছিল। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি চিঠি থেকে জানা গেছে, সয়াবিন মিল রপ্তানি অব্যাহত থাকলে এর প্রভাবে ডেইরি ও পোল্ট্র্রি খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে ডেইরি ও পোল্ট্রি খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের প্রাণি সম্পদ সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ , ২৯ আশ্বিন ১৪২৮ ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পোল্ট্রি ফিড ও পশুখাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সয়ামিল রপ্তানি বন্ধ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

পোল্ট্রি ফিড ও পশুর খাদ্য তৈরির অন্যতম উপাদান সয়ামিল রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে সরকার। দেশে পোল্ট্রি ফিড ও পশুখাদ্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে এ বিষয়ে আদেশেও পাঠানো হয়েছে।

আজ থেকে এ আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। তবে আদেশে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে যেসব এলসি ও টিটি সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো ২০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির কাজ শেষের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।

বেশ কিছুদিন থেকে দেশে মুরগির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। খাবার ও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন বলে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি। এর মধ্যে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সয়ামিল রপ্তানি শুরু হয়। পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ এ কাঁচামাল রপ্তানি শুরুর পর থেকে দেশের বাজারে এ পণ্যের দাম বাড়তে থাকে।

তখন থেকেই পোল্ট্রি খামারিরা সয়ামিল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাণিখাদ্য তৈরির প্রধান এ উপকরণের ‘কৃত্রিম সংকট’ সৃষ্টির অভিযোগ এনে এর রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

গতকালও কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা একমাস আগেও ১২০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে পাকিস্তানি কক মুরগি (সোনালিকা) ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬০ টাকা হয়েছে। লেয়ার মুরগির দাম ১৯০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস এখন প্রতি কেজি ৬০০ টাকা করে, যা ছয় মাস আগেও ৫৫০ টাকা ছিল। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি চিঠি থেকে জানা গেছে, সয়াবিন মিল রপ্তানি অব্যাহত থাকলে এর প্রভাবে ডেইরি ও পোল্ট্র্রি খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে ডেইরি ও পোল্ট্রি খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের প্রাণি সম্পদ সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।