ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে যুগ যুগ ধরে চলাচল করছে ৭০ হাজার মানুষ

উপজেলার রাংসা নদীর উপর সেতু না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে যুগ যুগ ধরে পারাপার হচ্ছে ৭ গ্রামের মানুষ।

জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের হিরারকান্দা এলাকায় নদীর উপর সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষজন নৌকা বা কলা ভেলায় নদী পারাপার হতেন। এক সময় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে সিমেন্টের পিলার দিয়ে দেড়শ’ ফুট দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ওই সাঁকো দিয়ে রামপুর ও গালগাঁও এই দুই ইউনিয়নের হিরারকান্দা, নারায়ণপুর, গোহালকান্দি, দর্জিগাতি, লক্ষীপুর, পলাশিয়া, খলিশাজান নিয়ে সাত গ্রামের প্রায় সত্তর হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

এলাকাবাসী জানান, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের যাতায়ত, মালামাল পরিবহনে ও কৃষকের কৃষি দব্রাদি পরিবহনে সাঁকো পারাপারে অন্তহীন ভোগান্তি প্রতিনিয়ত লেগেই আছে। কখনও সাঁকো ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে।

জটিল রোগীর জন্য ওইসব গ্রামগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারে না। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস প্রবেশ করতে পারে না।

রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মদন চন্দ্র সিংহ রায় ও গালাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া জানান, সাঁকো সংলগ্ন সড়কটি এলজিইডি তালিকাভুক্ত। নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ , ২৯ আশ্বিন ১৪২৮ ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে যুগ যুগ ধরে চলাচল করছে ৭০ হাজার মানুষ

প্রতিনিধি, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ)

image

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) : রাংসা নদীর উপর সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হয় এলাকাবাসী -সংবাদ

উপজেলার রাংসা নদীর উপর সেতু না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে যুগ যুগ ধরে পারাপার হচ্ছে ৭ গ্রামের মানুষ।

জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের হিরারকান্দা এলাকায় নদীর উপর সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষজন নৌকা বা কলা ভেলায় নদী পারাপার হতেন। এক সময় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে সিমেন্টের পিলার দিয়ে দেড়শ’ ফুট দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ওই সাঁকো দিয়ে রামপুর ও গালগাঁও এই দুই ইউনিয়নের হিরারকান্দা, নারায়ণপুর, গোহালকান্দি, দর্জিগাতি, লক্ষীপুর, পলাশিয়া, খলিশাজান নিয়ে সাত গ্রামের প্রায় সত্তর হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

এলাকাবাসী জানান, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের যাতায়ত, মালামাল পরিবহনে ও কৃষকের কৃষি দব্রাদি পরিবহনে সাঁকো পারাপারে অন্তহীন ভোগান্তি প্রতিনিয়ত লেগেই আছে। কখনও সাঁকো ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে।

জটিল রোগীর জন্য ওইসব গ্রামগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারে না। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস প্রবেশ করতে পারে না।

রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মদন চন্দ্র সিংহ রায় ও গালাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া জানান, সাঁকো সংলগ্ন সড়কটি এলজিইডি তালিকাভুক্ত। নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।