সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের এপিএস ফুরাদ গ্রেপ্তার

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এইচ এম ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুর মামলারও আসামি এই ফুয়াদ। তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার ও আওয়ামী লীগ নেতা সুবলের বাড়িতে ভাঙচুর মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা গতকাল দুপুরে ফুয়াদের গ্রেপ্তার এবং মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফুয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, হত্যাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ফুয়াদ দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ হাতুড়িবাহিনী ও হেলমেটবাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস ও বিভিন্ন হাটবাজারের ইজারা নিয়ন্ত্রণ এবং ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ১৫ জুন বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।

এ এইচ এম ফুয়াদ জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। তিনি ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে আত্মগোপন করেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বারবার অভিযান চালিয়েও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নগরকান্দার উপজেলার বিলনালিয়া এলাকার মোজদার চোকদারের ছেলে এই ফুয়াদ। কলেজ পড়াকালীন তার ফরিদপুরে আগমন ঘটে। ওই সময়েই তিনি আওয়ামী লীগের খাতায় নাম লেখান। পরে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি দায়িত্ব পান তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর পিও পদে।

এরপর মন্ত্রীর তৎকালীন এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জিকে পদ থেকে সরিয়ে সেই পদ তিনি বাগিয়ে নিয়ে তিনি হয়ে উঠেন ফরিদপুরের একচ্ছত্র অধিপতি।

পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর এপিএস হওয়ার সুবাদে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ দেশের জেলার সব অফিসগুলোতে চলে তার তদবিররাজত্ব।

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ , ২৯ আশ্বিন ১৪২৮ ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের এপিএস ফুরাদ গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এইচ এম ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুর মামলারও আসামি এই ফুয়াদ। তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার ও আওয়ামী লীগ নেতা সুবলের বাড়িতে ভাঙচুর মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা গতকাল দুপুরে ফুয়াদের গ্রেপ্তার এবং মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফুয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, হত্যাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ফুয়াদ দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ হাতুড়িবাহিনী ও হেলমেটবাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস ও বিভিন্ন হাটবাজারের ইজারা নিয়ন্ত্রণ এবং ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ১৫ জুন বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।

এ এইচ এম ফুয়াদ জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। তিনি ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে আত্মগোপন করেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বারবার অভিযান চালিয়েও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নগরকান্দার উপজেলার বিলনালিয়া এলাকার মোজদার চোকদারের ছেলে এই ফুয়াদ। কলেজ পড়াকালীন তার ফরিদপুরে আগমন ঘটে। ওই সময়েই তিনি আওয়ামী লীগের খাতায় নাম লেখান। পরে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি দায়িত্ব পান তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর পিও পদে।

এরপর মন্ত্রীর তৎকালীন এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জিকে পদ থেকে সরিয়ে সেই পদ তিনি বাগিয়ে নিয়ে তিনি হয়ে উঠেন ফরিদপুরের একচ্ছত্র অধিপতি।

পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর এপিএস হওয়ার সুবাদে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ দেশের জেলার সব অফিসগুলোতে চলে তার তদবিররাজত্ব।