বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও শক্তি হলো এদেশের জনগণ। জনগণের কল্যাণে ও জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ আন্দোলন, সংগ্রাম ও কাজ করে আসছে। শত জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে। এই দল এবং দলের নেতা-কর্মী ও দল প্রধান কোনদিন দেশ এবং জনগণ ছেড়ে পালাবে না।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সবসময়ই পলায়নপর দল। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে ও দুঃসময়ে তারা কখনই এগিয়ে আসেনি। বরং পালিয়ে পালিয়ে থেকেছে। দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে ক্যান্টনমেন্টে। জনগণের সাথে আপনাদের কোন সম্পর্ক নেই। জনগণের কল্যাণে আপনারা কখনও কোন কাজ করেননি।

ধনী-বণিক ও সুযোগসন্ধানীদের জন্য কাজ করেছেন। তাই, বিএনপি সব সময়ই জনবিচ্ছিন্ন একটি দল। এখনও জনবিচ্ছিন্ন আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। মন্ত্রী বলেন, পালাবেন তো আপনারা। আপনাদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বিদেশে পালিয়ে থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালাচ্ছে। আপনারা আর কোনদিন এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন না। ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, পাকিস্তান সরকারের চরম অত্যাচার-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কখনও পালায়নি। স্বৈরাচারী আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খানকে মোকাবেলা করেছেন। বার বার জেলে গেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়া হবে- এটা দেশে-বিদেশে সবাই জানত। বঙ্গবন্ধুও জানতেন তাঁকে ফাঁসি দেয়া হবে। তারপরও তিনি ছিলেন অকুতোভয়। পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি পালাননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৬ মার্চেও তিনি ইয়াহিয়া খানকে ভয় পাননি। পালিয়ে যাননি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শত বিপদ ও প্রতিকূলতার মাঝেও জনগণের পাশে রয়েছেন। কখনই মাথা নত করেননি। দেশের মানুষকে ছেড়ে কখনই পালিয়ে যাননি। ভবিষ্যতেও কখনও পালাবেন না। দেশের আপামর জনগণ শেখ হাসিনার পাশে রয়েছেন। তিনি দেশে খাদ্য সমস্যার সমাধান করেছেন। দেশের কোন মানুষ এখন না খেয়ে থাকেন না। এখন প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন। শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও মানুষের প্রতি তার গভীর ভালবাসা রয়েছে। গরিব ও দুস্থদের মঙ্গলের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

এ সময় ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার জেব-উন-নাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।