বাকেরগঞ্জের খরস্রোতা তুলাতলী ও অন্যপাশে খালে পরিণত হওয়া শ্রীমন্ত নদী। এর মাঝে জেগে ওঠা কয়েক শতাংশ চরের জমিটি বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় বসাবসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র শ্মশান। শ্মশান লাগোয়া মৃতপ্রায় শ্রীমন্ত নদীর অন্য তীরে মুসলিমদের গোরস্তান। গোরস্তান ও শ্মশান ক্ষতিগ্রস্ত করে শ্রীমন্ত নদীতে আয়রন সেতু নির্মিত হবে এমন খবরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরশহরের মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় বাকেরগঞ্জ পৌরশহরের ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নদীর সংযোগমুখে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। গোরস্থান ও শ্মশানের জমিতে সেতু নির্মাণে স্থানীয়রা বাধা দেয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। তিনিসহ প্রকল্প কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তারা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি যাতে নির্মিত হয় সে জন্য পৌরশহরের এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে তারা আতঙ্কে আছেন। তারা জানান, শ্মশান লাগোয়া পশ্চিম দিকে কয়েক শতাংশ খাসজমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন। দখলকৃত জমিতে যাওয়ার জন্যই তিনিই সেতু নির্মাণে উঠেপড়ে লেগেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতু নির্মাণের স্থান নির্ধারিত হয়েছে বাকেরগঞ্জ পৌরশহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত তুলাতলী নদী ও শ্রীমন্ত নদীর সংযোগ মুখে। সেখানে জেগে ওঠা শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র আয়তনের চরটি তুলাতলী ও শ্রীমন্ত নদীকে বিভক্ত করেছে। শ্মশানের দক্ষিণ পাশে শ্রীমন্ত নদী নামক খালটির অন্য পাড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের গোরস্তান ও পৌরশহরের জনবসতি। শ্মশানের পর বিশাল নদী থাকায় উত্তর প্রান্তে সেতুর সংযোগ সড়ক করার জমি নেই।
শ্মশানের পশ্চিম পাশে জনবসতির মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়া সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের।
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ , ২৯ আশ্বিন ১৪২৮ ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
বাকেরগঞ্জের খরস্রোতা তুলাতলী ও অন্যপাশে খালে পরিণত হওয়া শ্রীমন্ত নদী। এর মাঝে জেগে ওঠা কয়েক শতাংশ চরের জমিটি বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় বসাবসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র শ্মশান। শ্মশান লাগোয়া মৃতপ্রায় শ্রীমন্ত নদীর অন্য তীরে মুসলিমদের গোরস্তান। গোরস্তান ও শ্মশান ক্ষতিগ্রস্ত করে শ্রীমন্ত নদীতে আয়রন সেতু নির্মিত হবে এমন খবরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরশহরের মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় বাকেরগঞ্জ পৌরশহরের ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নদীর সংযোগমুখে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। গোরস্থান ও শ্মশানের জমিতে সেতু নির্মাণে স্থানীয়রা বাধা দেয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। তিনিসহ প্রকল্প কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তারা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি যাতে নির্মিত হয় সে জন্য পৌরশহরের এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে তারা আতঙ্কে আছেন। তারা জানান, শ্মশান লাগোয়া পশ্চিম দিকে কয়েক শতাংশ খাসজমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন। দখলকৃত জমিতে যাওয়ার জন্যই তিনিই সেতু নির্মাণে উঠেপড়ে লেগেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতু নির্মাণের স্থান নির্ধারিত হয়েছে বাকেরগঞ্জ পৌরশহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত তুলাতলী নদী ও শ্রীমন্ত নদীর সংযোগ মুখে। সেখানে জেগে ওঠা শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র আয়তনের চরটি তুলাতলী ও শ্রীমন্ত নদীকে বিভক্ত করেছে। শ্মশানের দক্ষিণ পাশে শ্রীমন্ত নদী নামক খালটির অন্য পাড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের গোরস্তান ও পৌরশহরের জনবসতি। শ্মশানের পর বিশাল নদী থাকায় উত্তর প্রান্তে সেতুর সংযোগ সড়ক করার জমি নেই।
শ্মশানের পশ্চিম পাশে জনবসতির মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়া সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের।