দুই হাজার কোটি টাকা মূলধন কমেছে শেয়ারবাজারে

আগের সপ্তাহের সামান্য উত্থান হলেও গত সপ্তাহে পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮২ হাজার ১২৪ কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯ টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২ হাজার ৭২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭০১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন তিন হাজার ৬৬২ কোটি ৮৫ লাখ ০০ হাজার ৫৪৮ টাকা বা ২৮.৭৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৯.৭০ পয়েন্ট বা ১.৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৪৩.২৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৮.৩৫ পয়েন্ট বা ১.৭৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮.২৫ পয়েন্ট বা ১.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫৬৭.৪৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৭১৯.১৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির বা ৩২.৮০ শতাংশের, কমেছে ২৩১টির বা ৬১.১১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির বা ৬.০৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ০১৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৮২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ টাকা বা ৩৬ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২৪.৫৯ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১১৬.৭২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৯৬.২৪ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪২৪.১০ পয়েন্ট বা ২.৭৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩১.১৫ পয়েন্ট বা ১.৪৫ শতাংশ এবং সিএসআই ৩২.২০ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৮২.৯৭ পয়েন্টে, ১৫ হাজার ০৭৭.৫০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৭৪.২৮ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৫১.৯২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৪টির বা ৩৩.৩৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ২১৬টির বা ৬৩.১৬ শতাংশের কমেছে এবং ১২টির বা ৩.৫১ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সাড়ে তিন শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২০.২১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৯.৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬৯ পয়েন্ট বা ৩.৪১ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬৮ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩১.৫২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৪.৬৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.২৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৩১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২১.০৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৭৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৪০.১২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৪১ শতাংশ, চামড়া খাতের ৩৬.৯৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩২.৩৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৭৯.৩৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৬৫.৭৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৭.০৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.২৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৩.৭৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৫.৫৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১ , ৩১ আশ্বিন ১৪২৮ ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

দুই হাজার কোটি টাকা মূলধন কমেছে শেয়ারবাজারে

অর্র্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আগের সপ্তাহের সামান্য উত্থান হলেও গত সপ্তাহে পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮২ হাজার ১২৪ কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯ টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২ হাজার ৭২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭০১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন তিন হাজার ৬৬২ কোটি ৮৫ লাখ ০০ হাজার ৫৪৮ টাকা বা ২৮.৭৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৯.৭০ পয়েন্ট বা ১.৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৪৩.২৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৮.৩৫ পয়েন্ট বা ১.৭৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮.২৫ পয়েন্ট বা ১.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫৬৭.৪৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৭১৯.১৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির বা ৩২.৮০ শতাংশের, কমেছে ২৩১টির বা ৬১.১১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির বা ৬.০৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ০১৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৮২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ টাকা বা ৩৬ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২৪.৫৯ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১১৬.৭২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৯৬.২৪ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪২৪.১০ পয়েন্ট বা ২.৭৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩১.১৫ পয়েন্ট বা ১.৪৫ শতাংশ এবং সিএসআই ৩২.২০ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৮২.৯৭ পয়েন্টে, ১৫ হাজার ০৭৭.৫০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৭৪.২৮ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৫১.৯২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৪টির বা ৩৩.৩৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ২১৬টির বা ৬৩.১৬ শতাংশের কমেছে এবং ১২টির বা ৩.৫১ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সাড়ে তিন শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২০.২১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৯.৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬৯ পয়েন্ট বা ৩.৪১ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬৮ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩১.৫২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৪.৬৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.২৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৩১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২১.০৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৭৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৪০.১২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৪১ শতাংশ, চামড়া খাতের ৩৬.৯৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩২.৩৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৭৯.৩৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৬৫.৭৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৭.০৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.২৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৩.৭৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৫.৫৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।