সুতার দাম বাড়ছে, সংকটে তৈরি পোশাক খাত

তৈরি পোশাক খাতের প্রধান কাঁচামাল সুতার দাম দিন দিন হু হু করে বাড়ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রতিযোগিতা নিয়ে সংকটে রয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত গত নয় মাসে তুলার দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। এ তুলা থেকে সুতা উৎপাদন করে দেশের স্পিনিং মিলগুলো, যার দাম গত নয় মাসে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে গত নয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনা তুলা ও দেশের মিলগুলোয় উৎপাদিত সুতার দামের গতিপ্রকৃতি জানিয়ে বিটিএমএ বলছে, সুতার মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিভিন্ন অজুহাত তৈরি ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি বেনাপোলসহ সব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি ও সুতার পার্শিয়াল শিপমেন্ট অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ চেষ্টাকে অপচেষ্টা উল্লেখ করে ১৯ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিটিএমএ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কতিপয় সংগঠন স্থানীয় সুতার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার অপেক্ষা ৫০-৬০ শতাংশ বেশি-এ তথ্য উত্থাপনের মাধ্যমে বেনাপোলসহ সব স্থলবন্দর দিয়ে বস্ত্র ও পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তথা সুতা, বস্ত্র পণ্য আমদানি, সুতার আংশিক শিপমেন্টসহ এ-সংক্রান্ত কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রস্তাব পেশ করেছে।

কতিপয় সংগঠনের প্রস্তাবে স্থানীয়ভাবে তৈরি সুতার উচ্চমূল্যের অভিযোগ এনে সুতার আংশিক শিপমেন্টসহ এ-সংক্রান্ত কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণের তাগিদ জানানো হয়েছে। বিটিএমএ এ ধরনের বক্তব্য ও প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্থানীয় টেক্সটাইল খাতে প্রতিষ্ঠিত একটি কার্যকর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংসের একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করে এবং এর দ্বারা সরকারের নীতিনির্ধারকসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

অপচেষ্টার অভিযোগ জানিয়ে নিজস্ব প্রস্তাবও উপস্থাপন করা হয়েছে বিটিএমএর চিঠিতে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে শুরুতেই বলা হয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বন্ডের মাধ্যমে সুতা আমদানির বিধান রয়েছে। তাই বেনাপোল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শিপমেন্টের অনুমতি দেয়া আত্মঘাতী হবে। কেননা আংশিক শিপমেন্টের অনুমোদন দেয়া হলে একটি এলসির বিপরীতে কয়েকটি চালানে একই এলসির সুতার নামে সুতার অনেক ট্রাকের অনুপ্রবেশ হবে, যা অতীতে হয়েছে তার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনীত সুতা স্থানীয় বাজারে বিক্রির কারণে দেশীয় স্পিনিং মিলগুলো অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে একসময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিটিএমএর দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হলোÑ ভোমরা, সোনা মসজিদসহ অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত। বলা হয়েছে, ভোমরা, সোনা মসজিদসহ অন্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বর্তমানে অনেকাংশে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ওই বন্দরগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি হয়নি। এছাড়া টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের আমদানি করা সুতার কাউন্ট পরিমাপক যন্ত্র, দক্ষ জনবলসহ অন্য যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। ফলে সুতার মতো স্পর্শকাতর কাঁচামালের আমদানির অনুমতিসহ আংশিক শিপমেন্ট অনুমতি দেয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মত জানিয়েছে বিটিএমএ।

ভোমরা, সোনা মসজিদসহ অন্য স্থলবন্দর সুতা আমদানির জন্য খুলে দেয়া হলে মিস ডিকলারেশনের (মিথ্যা ঘোষণা) মাধ্যমে অননুমোদিত সুতার ব্যাপক বাজারজাতের ফলে দেশীয় টেক্সটাইল মিল অসম প্রতিযোগিতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়েছে বিটিএমএ। একই সঙ্গে সরকার ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। সর্বোপরি এর ফলে আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অন্য দেশের কাছে তুলে দেয়া হবে বলে মনে করছে বিটিএমএ।

গত এক বছর বা তারও বেশি সময়ের মধ্যে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতে যে ১৫ লাখের বেশি নতুন স্পিন্ডল যোগ হতে যাচ্ছে, তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে সুতার বর্ধিত চাহিদার সংকট উত্তরণের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা ব্যাহত হবে। তাই এ বিবেচনা থেকে বেনাপোলসহ অন্য যেকোন স্থলবন্দরকে সুতা আমদানির জন্য খুলে দেয়া বাঞ্ছনীয় হবে না বলে জানিয়েছে বিটিএমএ।

বিটিএমএর প্রস্তাবনাগুলোর যৌক্তিকতা এবং বিভিন্ন মহল কর্তৃক সুতার মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কে বিটিএমএর অবস্থান উপস্থাপন করা হয়েছে এনবিআরকে দেয়া চিঠিতে। এর মধ্যে প্রথমে বলা হয়েছে সুতা তৈরিতে তুলার খরচই সর্বোচ্চ, যা ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশের মতো। তাই সুতার মূল্য তুলার খরচ ও বাজারে সুতার চাহিদা ও সরবরাহ তারতম্য, এ দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অর্থাৎ ওই দুটিই সুতার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি, ম্যানুফ্যাকচারারের কোন ভূমিকা নেই।

বিটিএমএ জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে তুলার মূল্য ছিল প্রতি কেজিতে ১ দশমিক ৬৫ ডলার, যা এ মাসে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৪৩ ডলার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তুলার দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। একই সময়ে তার বিপরীতে সুতার মূল্য ছিল (ডিসেম্বর, ২০২০) প্রতি কেজিতে ৩ দশমিক ১০ ডলার ও আগস্টে (২০২১) প্রতি কেজিতে ৪ দশমিক ২৫ ডলার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সুতার দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। তথ্যটি বিশ্লেষণ করলে তুলার মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে সুতার মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ কম। সর্বোপরি সমিতির তথ্যানুযায়ী গত পাঁচ মাসে সুতার মূল্য গড়ে বৃদ্ধি হয়েছে ৫ সেন্টস করে।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১ , ৩১ আশ্বিন ১৪২৮ ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সুতার দাম বাড়ছে, সংকটে তৈরি পোশাক খাত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

তৈরি পোশাক খাতের প্রধান কাঁচামাল সুতার দাম দিন দিন হু হু করে বাড়ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রতিযোগিতা নিয়ে সংকটে রয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত গত নয় মাসে তুলার দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। এ তুলা থেকে সুতা উৎপাদন করে দেশের স্পিনিং মিলগুলো, যার দাম গত নয় মাসে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে গত নয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনা তুলা ও দেশের মিলগুলোয় উৎপাদিত সুতার দামের গতিপ্রকৃতি জানিয়ে বিটিএমএ বলছে, সুতার মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিভিন্ন অজুহাত তৈরি ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি বেনাপোলসহ সব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি ও সুতার পার্শিয়াল শিপমেন্ট অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ চেষ্টাকে অপচেষ্টা উল্লেখ করে ১৯ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিটিএমএ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কতিপয় সংগঠন স্থানীয় সুতার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার অপেক্ষা ৫০-৬০ শতাংশ বেশি-এ তথ্য উত্থাপনের মাধ্যমে বেনাপোলসহ সব স্থলবন্দর দিয়ে বস্ত্র ও পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তথা সুতা, বস্ত্র পণ্য আমদানি, সুতার আংশিক শিপমেন্টসহ এ-সংক্রান্ত কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রস্তাব পেশ করেছে।

কতিপয় সংগঠনের প্রস্তাবে স্থানীয়ভাবে তৈরি সুতার উচ্চমূল্যের অভিযোগ এনে সুতার আংশিক শিপমেন্টসহ এ-সংক্রান্ত কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণের তাগিদ জানানো হয়েছে। বিটিএমএ এ ধরনের বক্তব্য ও প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্থানীয় টেক্সটাইল খাতে প্রতিষ্ঠিত একটি কার্যকর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংসের একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করে এবং এর দ্বারা সরকারের নীতিনির্ধারকসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

অপচেষ্টার অভিযোগ জানিয়ে নিজস্ব প্রস্তাবও উপস্থাপন করা হয়েছে বিটিএমএর চিঠিতে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে শুরুতেই বলা হয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বন্ডের মাধ্যমে সুতা আমদানির বিধান রয়েছে। তাই বেনাপোল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শিপমেন্টের অনুমতি দেয়া আত্মঘাতী হবে। কেননা আংশিক শিপমেন্টের অনুমোদন দেয়া হলে একটি এলসির বিপরীতে কয়েকটি চালানে একই এলসির সুতার নামে সুতার অনেক ট্রাকের অনুপ্রবেশ হবে, যা অতীতে হয়েছে তার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনীত সুতা স্থানীয় বাজারে বিক্রির কারণে দেশীয় স্পিনিং মিলগুলো অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে একসময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিটিএমএর দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হলোÑ ভোমরা, সোনা মসজিদসহ অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত। বলা হয়েছে, ভোমরা, সোনা মসজিদসহ অন্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বর্তমানে অনেকাংশে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ওই বন্দরগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি হয়নি। এছাড়া টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের আমদানি করা সুতার কাউন্ট পরিমাপক যন্ত্র, দক্ষ জনবলসহ অন্য যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। ফলে সুতার মতো স্পর্শকাতর কাঁচামালের আমদানির অনুমতিসহ আংশিক শিপমেন্ট অনুমতি দেয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মত জানিয়েছে বিটিএমএ।

ভোমরা, সোনা মসজিদসহ অন্য স্থলবন্দর সুতা আমদানির জন্য খুলে দেয়া হলে মিস ডিকলারেশনের (মিথ্যা ঘোষণা) মাধ্যমে অননুমোদিত সুতার ব্যাপক বাজারজাতের ফলে দেশীয় টেক্সটাইল মিল অসম প্রতিযোগিতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়েছে বিটিএমএ। একই সঙ্গে সরকার ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। সর্বোপরি এর ফলে আমাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অন্য দেশের কাছে তুলে দেয়া হবে বলে মনে করছে বিটিএমএ।

গত এক বছর বা তারও বেশি সময়ের মধ্যে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতে যে ১৫ লাখের বেশি নতুন স্পিন্ডল যোগ হতে যাচ্ছে, তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে সুতার বর্ধিত চাহিদার সংকট উত্তরণের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা ব্যাহত হবে। তাই এ বিবেচনা থেকে বেনাপোলসহ অন্য যেকোন স্থলবন্দরকে সুতা আমদানির জন্য খুলে দেয়া বাঞ্ছনীয় হবে না বলে জানিয়েছে বিটিএমএ।

বিটিএমএর প্রস্তাবনাগুলোর যৌক্তিকতা এবং বিভিন্ন মহল কর্তৃক সুতার মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কে বিটিএমএর অবস্থান উপস্থাপন করা হয়েছে এনবিআরকে দেয়া চিঠিতে। এর মধ্যে প্রথমে বলা হয়েছে সুতা তৈরিতে তুলার খরচই সর্বোচ্চ, যা ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশের মতো। তাই সুতার মূল্য তুলার খরচ ও বাজারে সুতার চাহিদা ও সরবরাহ তারতম্য, এ দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অর্থাৎ ওই দুটিই সুতার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি, ম্যানুফ্যাকচারারের কোন ভূমিকা নেই।

বিটিএমএ জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে তুলার মূল্য ছিল প্রতি কেজিতে ১ দশমিক ৬৫ ডলার, যা এ মাসে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৪৩ ডলার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তুলার দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। একই সময়ে তার বিপরীতে সুতার মূল্য ছিল (ডিসেম্বর, ২০২০) প্রতি কেজিতে ৩ দশমিক ১০ ডলার ও আগস্টে (২০২১) প্রতি কেজিতে ৪ দশমিক ২৫ ডলার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সুতার দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। তথ্যটি বিশ্লেষণ করলে তুলার মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে সুতার মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ কম। সর্বোপরি সমিতির তথ্যানুযায়ী গত পাঁচ মাসে সুতার মূল্য গড়ে বৃদ্ধি হয়েছে ৫ সেন্টস করে।