নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক

যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ সফরকালে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা প্রকল্পে যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তার সুযোগ ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেছেন।

গতকাল যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ অফ উইম্বলডন তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেন। দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

সফরকালে লর্ড আহমেদ ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মনে করেন, যুক্তরাজ্য অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবায় বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে সেই সেবাগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

তিনি কপ-২৬-এর ফলাফল নিয়েও আলোচনা করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্ব দেন। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশটির পক্ষ থেকে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করেন।

সফরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। যেখানকার একাধিক রোহিঙ্গা পরিবার ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। লর্ড আহমদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারীদের প্রতি সম্প্রতি সহিংসতার ঘটনা আমি খুবই দুঃখজনক মনে করি। রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে যতদিন ফিরে যেতে না পারে ততদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’

১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ডের নতুন প্রকল্পের অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের আতিথীয়তায় সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, সফরকালে লর্ড আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের ও মানবিক সহায়তা খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৩

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ সফরকালে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা প্রকল্পে যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তার সুযোগ ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেছেন।

গতকাল যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ অফ উইম্বলডন তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেন। দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

সফরকালে লর্ড আহমেদ ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মনে করেন, যুক্তরাজ্য অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবায় বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে সেই সেবাগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

তিনি কপ-২৬-এর ফলাফল নিয়েও আলোচনা করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্ব দেন। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশটির পক্ষ থেকে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করেন।

সফরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। যেখানকার একাধিক রোহিঙ্গা পরিবার ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। লর্ড আহমদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারীদের প্রতি সম্প্রতি সহিংসতার ঘটনা আমি খুবই দুঃখজনক মনে করি। রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে যতদিন ফিরে যেতে না পারে ততদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’

১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ডের নতুন প্রকল্পের অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের আতিথীয়তায় সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, সফরকালে লর্ড আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের ও মানবিক সহায়তা খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।