কমিটি ঘোষণার দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা পদপ্রত্যাশীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হলেও গত পাঁচ বছরে হলগুলোতে আর কমিটিই গঠন করা হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালের আগস্টে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব আসে। বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য মাঝপথেই শোভন-রাব্বানীকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক তাদের পদেই থাকেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে হল কমিটি করার কথা বললেও তার বাস্তবায়ন আর দেখা যায়নি। উল্টো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তবে দায়িত্বে আছে পুরনো কমিটিই।

এবার ২৮ নভেম্বর থেকে হল সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে জানানো হলেও কমিটি ঘোষণায় দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তবে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সংবাদকে বলেছেন, সম্মেলন ‘নির্ধারিত সময়েই’ অনুষ্ঠিত হবে। ‘সব ধরনের বিকল্প রেখেই আমরা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এক্ষেত্রে একদিনে কেন্দ্রীয়ভাবে বা আলাদাভাবে সম্মেলনের আয়োজন দুটোর প্রস্তুতিই আমাদের হয়েছে। সম্মেলনের সঙ্গে সঙ্গেই যেন আমরা কমিটি গঠন করতে পারি, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে হল সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পরপরই সরব হয়ে উঠেছে হলগুলোর নেতাকর্মীরা। সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিদিনই সেøাগান-সেøাগানে মুখরিত হয়ে উঠছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিদিন সকাল হলেই নেতাকর্মী-পদপ্রত্যাশীরা হাজির হচ্ছেন মধুর ক্যান্টিনে। সেøাগান সেøাগানে নিজেদের অবস্থার কথা জানান দিচ্ছেন তারা। আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।

পদপ্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন যেহেতু সম্মেলনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে, নির্দিষ্ট তারিখেই সম্মেলন হোক। সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসুক।

দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় পদপ্রত্যাশীদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অর্থাৎ মাস্টার্স শেষ হয়ে গেছে। এরকমই একজন পদপ্রত্যাশী বললেন, ‘আমাদের সঙ্গের সহপাঠীরা বিভিন্ন চাকরি পেয়ে, বিয়ে করে পরিবারের হাল ধরেছেন। অথচ এত বছর রাজনীতি করে এখনও পর্যন্ত নিজের রাজনৈতিক পরিচয়টাই পেলাম না। এটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। যেহেতু এখন সম্মেলন হবে, অনেক সুবিধাবাদী নতুন মুখ মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই পূর্বক এতদিন যারা মাঠে ছিল তথা পরিশ্রমী ও ত্যাগীদের যেন পদে আনা হয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক পদপ্রত্যাশী সংবাদকে বলেন, ‘ইতোপূর্বে সব হলকে নিয়ে একসঙ্গে সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ধাপে ধাপে হবে। এ কারণে আমরা আশাঙ্কা করছি কমিটি ঘোষণা বিলম্ব হবে।’

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের যারা রাজনীতি করেন তারা কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হলে চার নেতার সর্বমোট ৭২টি গ্রুপ রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি হলে সভাপতি-সম্পাদক হবেন দুই জন। পদ পাবেন ৩৬ জন। আবার এক নেতার একাধিক প্রার্থীও রয়েছেন। যার কারণে কমিটি গঠনের আগে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করতে হয়।

ছাত্রলীগের হল সম্মেলন নিয়ে সংবাদে আজ প্রথম পর্বে ছয়টি হলের পদপ্রত্যাশী কারা তা তুলে ধরা হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি-সম্পাদক এই দুই পদে প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান শান্ত, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সিফাত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মোহাম্মদ ইসরাফিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, তথ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জুলফিকার হাসান পিয়াস এবং হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুসান্না আল গালিব, শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নুর আল আমিন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে শীর্ষ দুই পদে যারা যেতে চান তারা হলেনÑ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল সুবাইল, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মামুন ও আমির হোসেন মুরাদ।

কবি জসীমউদ্দিন হলে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল সুমন, সহ-সভপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সাহিত্য সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী সাংস্কৃতিক সম্পাদক খালিদ আল হাসান বাদল।

বিজয় একাত্তর হলে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান সজীব, হারুনর রশীদ, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান লিখন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহমেদ, সহ-সভাপতি রবিউল হাসান রানা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান।

মাস্টার দা সূর্যসেন হলে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারিয়াম জামান খান সোহান, সহ-সম্পাদক সিয়াম রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম শপু, হাবিবুর রহমান সুমন, অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ইমরান সাগর।

হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল হক শিশির, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুুল্লাহ আল মামুন জীবন, তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ তানজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিল আব্বাস, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান ও গণশিক্ষা সম্পাদক সম্রাট হোসেন লিটন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আদর্শিকভাবে জাগরণ তৈরি করা, কী কী রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামীতে আমাদের কর্মসূচি পরিচালিত হবে, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও বাস্তবায়নে কী কী রূপরেখা আমরা দিতে পারি- এগুলো আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে নির্ধারণ করবো। দক্ষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্ব যেন উঠে আসে সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

দীর্ঘ ৫ বছর পর ঢাবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলন শুরু ২৮ নভেম্বর

কমিটি ঘোষণার দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা পদপ্রত্যাশীদের

খালেদ মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হলেও গত পাঁচ বছরে হলগুলোতে আর কমিটিই গঠন করা হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালের আগস্টে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব আসে। বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য মাঝপথেই শোভন-রাব্বানীকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক তাদের পদেই থাকেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে হল কমিটি করার কথা বললেও তার বাস্তবায়ন আর দেখা যায়নি। উল্টো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তবে দায়িত্বে আছে পুরনো কমিটিই।

এবার ২৮ নভেম্বর থেকে হল সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে জানানো হলেও কমিটি ঘোষণায় দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তবে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সংবাদকে বলেছেন, সম্মেলন ‘নির্ধারিত সময়েই’ অনুষ্ঠিত হবে। ‘সব ধরনের বিকল্প রেখেই আমরা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এক্ষেত্রে একদিনে কেন্দ্রীয়ভাবে বা আলাদাভাবে সম্মেলনের আয়োজন দুটোর প্রস্তুতিই আমাদের হয়েছে। সম্মেলনের সঙ্গে সঙ্গেই যেন আমরা কমিটি গঠন করতে পারি, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে হল সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পরপরই সরব হয়ে উঠেছে হলগুলোর নেতাকর্মীরা। সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিদিনই সেøাগান-সেøাগানে মুখরিত হয়ে উঠছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিদিন সকাল হলেই নেতাকর্মী-পদপ্রত্যাশীরা হাজির হচ্ছেন মধুর ক্যান্টিনে। সেøাগান সেøাগানে নিজেদের অবস্থার কথা জানান দিচ্ছেন তারা। আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।

পদপ্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন যেহেতু সম্মেলনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে, নির্দিষ্ট তারিখেই সম্মেলন হোক। সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসুক।

দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় পদপ্রত্যাশীদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অর্থাৎ মাস্টার্স শেষ হয়ে গেছে। এরকমই একজন পদপ্রত্যাশী বললেন, ‘আমাদের সঙ্গের সহপাঠীরা বিভিন্ন চাকরি পেয়ে, বিয়ে করে পরিবারের হাল ধরেছেন। অথচ এত বছর রাজনীতি করে এখনও পর্যন্ত নিজের রাজনৈতিক পরিচয়টাই পেলাম না। এটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। যেহেতু এখন সম্মেলন হবে, অনেক সুবিধাবাদী নতুন মুখ মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই পূর্বক এতদিন যারা মাঠে ছিল তথা পরিশ্রমী ও ত্যাগীদের যেন পদে আনা হয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক পদপ্রত্যাশী সংবাদকে বলেন, ‘ইতোপূর্বে সব হলকে নিয়ে একসঙ্গে সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ধাপে ধাপে হবে। এ কারণে আমরা আশাঙ্কা করছি কমিটি ঘোষণা বিলম্ব হবে।’

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের যারা রাজনীতি করেন তারা কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হলে চার নেতার সর্বমোট ৭২টি গ্রুপ রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি হলে সভাপতি-সম্পাদক হবেন দুই জন। পদ পাবেন ৩৬ জন। আবার এক নেতার একাধিক প্রার্থীও রয়েছেন। যার কারণে কমিটি গঠনের আগে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করতে হয়।

ছাত্রলীগের হল সম্মেলন নিয়ে সংবাদে আজ প্রথম পর্বে ছয়টি হলের পদপ্রত্যাশী কারা তা তুলে ধরা হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি-সম্পাদক এই দুই পদে প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান শান্ত, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সিফাত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মোহাম্মদ ইসরাফিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, তথ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জুলফিকার হাসান পিয়াস এবং হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুসান্না আল গালিব, শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নুর আল আমিন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে শীর্ষ দুই পদে যারা যেতে চান তারা হলেনÑ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল সুবাইল, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মামুন ও আমির হোসেন মুরাদ।

কবি জসীমউদ্দিন হলে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল সুমন, সহ-সভপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সাহিত্য সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী সাংস্কৃতিক সম্পাদক খালিদ আল হাসান বাদল।

বিজয় একাত্তর হলে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান সজীব, হারুনর রশীদ, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান লিখন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহমেদ, সহ-সভাপতি রবিউল হাসান রানা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান।

মাস্টার দা সূর্যসেন হলে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারিয়াম জামান খান সোহান, সহ-সম্পাদক সিয়াম রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম শপু, হাবিবুর রহমান সুমন, অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ইমরান সাগর।

হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল হক শিশির, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুুল্লাহ আল মামুন জীবন, তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ তানজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিল আব্বাস, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান ও গণশিক্ষা সম্পাদক সম্রাট হোসেন লিটন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আদর্শিকভাবে জাগরণ তৈরি করা, কী কী রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামীতে আমাদের কর্মসূচি পরিচালিত হবে, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও বাস্তবায়নে কী কী রূপরেখা আমরা দিতে পারি- এগুলো আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে নির্ধারণ করবো। দক্ষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্ব যেন উঠে আসে সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।