সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে            মির্জা ফখরুল

‘সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে, কিন্তু তারা সেটা করবে না। শুধু রাজনীতি নয়, খালেদা জিয়াকে জীবন থেকেই সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার’ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আলাদা করে দেখার কোন অবকাশ নেই মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে হবে, মুক্ত করতে হবে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। দীর্ঘ নয় বছর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ এবং অহঙ্কার-দাম্ভিকতার কারণে আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে রাখা হয়েছে। কারণ তারা জানেন, যদি খালেদা জিয়া বাইরে থাকে তাহলে জনগণকে সঙ্গে করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবেন।

আলোচনা সভা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ১৩ নভেম্বর তাকে এই হাসপাতলে ভর্তি করানো হয়। এর আগে ১১ নভেম্বর বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা জানাতে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব। খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন।’

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে            মির্জা ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে, কিন্তু তারা সেটা করবে না। শুধু রাজনীতি নয়, খালেদা জিয়াকে জীবন থেকেই সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার’ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আলাদা করে দেখার কোন অবকাশ নেই মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে হবে, মুক্ত করতে হবে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। দীর্ঘ নয় বছর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ এবং অহঙ্কার-দাম্ভিকতার কারণে আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে রাখা হয়েছে। কারণ তারা জানেন, যদি খালেদা জিয়া বাইরে থাকে তাহলে জনগণকে সঙ্গে করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবেন।

আলোচনা সভা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ১৩ নভেম্বর তাকে এই হাসপাতলে ভর্তি করানো হয়। এর আগে ১১ নভেম্বর বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা জানাতে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব। খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন।’