গোবিন্দগঞ্জে নৈশকোচ চাপায় ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নৈশকোচের চাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জে দাঁড়িয়ে ট্রাকে সিএনজির ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে। উভয় ঘটনায় আহত হয়েছে ৬ জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

গোবিন্দগঞ্জে গতকাল ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কালিতলা নামক স্থানে হানিফ পরিবহনের একটি নৈশকোচের চাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত ও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের কালিতলা নামকস্থানে দ্রুতগতির রংপুরগামী হানিফ পরিবহন ফাঁসিতলাগামী যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং অটোযাত্রী পৌরসভার ঘোষপাড়ার আশরাফ (৬০), বকচর গ্রামের টুকু আমিন (৬৫) ও সোহাগ (২২) নামের তিন ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অটোরিকশাযাত্রী রাখালবুরুজ ইউনিয়নের মাদারদহ গ্রামের মৃত আবদুল বাকির ছেলে রিপন (৩২), পৌরসভার মধ্যপাড়ার সন্তোষ বিশ্বাসের ছেলে রাজমতি মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী সুজন বিশ্বাসকে (৪০) কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ।

দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার জানান, গুরুতর আহত পাঁচজনকে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের কাপাশিয়া গ্রামের সিদ্দিক (৪২), পৌরসভার বর্ধনকুঠি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে মাজেদুলকে (৩০) ও বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত দুলালের ছেলে খোকনকে (৩২) উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-২৫৯৯) কোচটি আটক করা হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

হবিগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সিএনজির ধাক্কা

শিশু নিহত

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের কালারডুবা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সিএনজি অটোরিক্সার ধাক্কায় জান্নাতুল ফেরদৌস (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছে একই পরিবারের আরও ৩ সদস্য। তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস হবিগঞ্জ শহরতলীর ভাদৈ গ্রামের সোহাগ মিয়ার কন্যা। আহতরা হলোÑ ওই শিশুর পিতা সোহাগ মিয়া, মা শিফা আক্তার ও ভাই ইব্রাহিম মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভাদৈ এলাকা থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে সোহাগ মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমেধ্য কালারডুবা এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় সিএনজি অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু জান্নাতুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিশুর মা শিফা আক্তার জানান, তারা সিএনজি অটোরিকশাতে উঠার পর থেকেই চালককে ধীরে ধীরে চালাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু চালক দ্রুত গতিতে চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ কথা বলার পরপরই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে, দুর্ঘটনার পর সিএনজি উদ্ধার করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন রায় এ ব্যপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন, নিহত শিশুর জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত দেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

গোবিন্দগঞ্জে নৈশকোচ চাপায় ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত

সংবাদ ডেস্ক

সড়ক দুর্ঘটনায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নৈশকোচের চাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জে দাঁড়িয়ে ট্রাকে সিএনজির ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে। উভয় ঘটনায় আহত হয়েছে ৬ জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

গোবিন্দগঞ্জে গতকাল ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কালিতলা নামক স্থানে হানিফ পরিবহনের একটি নৈশকোচের চাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত ও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের কালিতলা নামকস্থানে দ্রুতগতির রংপুরগামী হানিফ পরিবহন ফাঁসিতলাগামী যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং অটোযাত্রী পৌরসভার ঘোষপাড়ার আশরাফ (৬০), বকচর গ্রামের টুকু আমিন (৬৫) ও সোহাগ (২২) নামের তিন ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অটোরিকশাযাত্রী রাখালবুরুজ ইউনিয়নের মাদারদহ গ্রামের মৃত আবদুল বাকির ছেলে রিপন (৩২), পৌরসভার মধ্যপাড়ার সন্তোষ বিশ্বাসের ছেলে রাজমতি মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী সুজন বিশ্বাসকে (৪০) কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ।

দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার জানান, গুরুতর আহত পাঁচজনকে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের কাপাশিয়া গ্রামের সিদ্দিক (৪২), পৌরসভার বর্ধনকুঠি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে মাজেদুলকে (৩০) ও বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত দুলালের ছেলে খোকনকে (৩২) উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-২৫৯৯) কোচটি আটক করা হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

হবিগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সিএনজির ধাক্কা

শিশু নিহত

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের কালারডুবা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সিএনজি অটোরিক্সার ধাক্কায় জান্নাতুল ফেরদৌস (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছে একই পরিবারের আরও ৩ সদস্য। তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস হবিগঞ্জ শহরতলীর ভাদৈ গ্রামের সোহাগ মিয়ার কন্যা। আহতরা হলোÑ ওই শিশুর পিতা সোহাগ মিয়া, মা শিফা আক্তার ও ভাই ইব্রাহিম মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভাদৈ এলাকা থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে সোহাগ মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমেধ্য কালারডুবা এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় সিএনজি অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু জান্নাতুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিশুর মা শিফা আক্তার জানান, তারা সিএনজি অটোরিকশাতে উঠার পর থেকেই চালককে ধীরে ধীরে চালাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু চালক দ্রুত গতিতে চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ কথা বলার পরপরই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে, দুর্ঘটনার পর সিএনজি উদ্ধার করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মিঠুন রায় এ ব্যপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন, নিহত শিশুর জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত দেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।