সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় অপপ্রচারে লিপ্ত স্বার্থান্বেষী মহল হিন্দু মহাজোট

সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত কিছু হামলার ঘটনাকে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তিকে বিব্রত করা হচ্ছে। যারা কাজটি করছে তারা মূলত নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ঘটনাকে বেছে নিয়েছেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা। সংগঠনটি জানায়, বেশ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ পূরণে এসব নেতিবাচক কাজ করছে।

সম্মেলনে মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, কতিপয় সংগঠন রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, ধিক্কার মিছিলের নামে পরিকল্পিতভাবে দেশবিরোধী কর্মসূচি পালন করেছে। এসব সংগঠনের এ ধরনের কার্যক্রম হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর কল্যাণের বদলে দেশকে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। লিখিত বক্তব্যে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলার পরপর সরকার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্ত মঠমন্দির সংস্কার ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে রাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয় কৌশলগত বক্তব্য রেখেছেন। বিভিন্ন সংগঠন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌক্তিক বিরোধিতার বদলে অশালীন ও অশোভন বক্তব্যের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে পরিকল্পিতভাবে সংবাদ সম্মেলন, ধিক্কার মিছিল আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি পবিত্র ভূমি। আমরা এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই না। সবার সঙ্গে মিলেমিশে বসবার করতে চাই। এ জন্য দেশের কল্যাণে নিয়োজিত সব সংগঠনের উচিত দেশে ও দেশের বাহিরে কোন কর্মসূচি পালনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করা। কেননা হিন্দু ধর্ম অনিয়মতান্ত্রিক ও বিশৃঙ্খলভাবে কোন দাবি আদায়ের শিক্ষা দেয় না। সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির মাধ্যমে বসবাসের শিক্ষা দেয়। অন্যদিকে, যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে সহিংস দেশ হিসেবে উপস্থাপন করছেÑ তারা হিন্দু ধর্মের চেতনাবিরোধী।

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় অপপ্রচারে লিপ্ত স্বার্থান্বেষী মহল হিন্দু মহাজোট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত কিছু হামলার ঘটনাকে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তিকে বিব্রত করা হচ্ছে। যারা কাজটি করছে তারা মূলত নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ঘটনাকে বেছে নিয়েছেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা। সংগঠনটি জানায়, বেশ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ পূরণে এসব নেতিবাচক কাজ করছে।

সম্মেলনে মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, কতিপয় সংগঠন রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, ধিক্কার মিছিলের নামে পরিকল্পিতভাবে দেশবিরোধী কর্মসূচি পালন করেছে। এসব সংগঠনের এ ধরনের কার্যক্রম হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর কল্যাণের বদলে দেশকে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। লিখিত বক্তব্যে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলার পরপর সরকার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্ত মঠমন্দির সংস্কার ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে রাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয় কৌশলগত বক্তব্য রেখেছেন। বিভিন্ন সংগঠন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌক্তিক বিরোধিতার বদলে অশালীন ও অশোভন বক্তব্যের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে পরিকল্পিতভাবে সংবাদ সম্মেলন, ধিক্কার মিছিল আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি পবিত্র ভূমি। আমরা এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই না। সবার সঙ্গে মিলেমিশে বসবার করতে চাই। এ জন্য দেশের কল্যাণে নিয়োজিত সব সংগঠনের উচিত দেশে ও দেশের বাহিরে কোন কর্মসূচি পালনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করা। কেননা হিন্দু ধর্ম অনিয়মতান্ত্রিক ও বিশৃঙ্খলভাবে কোন দাবি আদায়ের শিক্ষা দেয় না। সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির মাধ্যমে বসবাসের শিক্ষা দেয়। অন্যদিকে, যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে সহিংস দেশ হিসেবে উপস্থাপন করছেÑ তারা হিন্দু ধর্মের চেতনাবিরোধী।