বাবার জিম্মায় থাকবে দুই শিশু, দেখা করতে পারবেন মা

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই শিশুকন্যাকে (জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা) বাবার জিম্মায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে জাপানে থাকা তৃতীয় সন্তানকে বাংলাদেশে আনাতে ইমরান শরীফের করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। দুই দেশের দু’জন নাগরিকের সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে এটাই প্রথম রায়।

আদেশে বলা হয়েছে, আমরা শিশুদের সঙ্গে চারবার খাস কামরায় কথা বলেছি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলা এবং আইনজীবীদের মতামত গ্রহণ করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। শিশুদের সর্বোচ্চ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই আদেশ দেয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়, মা দেখা-সাক্ষাৎ ও একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। যেহেতু এরিকো নাকানো জাপানি নাগরিক এবং সেখানে কর্মরত, তাই তিনি প্রতি তিন মাস পরপর বাংলাদেশে এসে কমপক্ষে দশ দিন সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। আর বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া-আসাসহ সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে। তবে অতিরিক্ত সময় যাওয়া-আসা করলে তা মাকেই বহন করতে হবে। এছাড়া ইমরান শরীফ মাসে কমপক্ষে দু’বার ছুটির দিন সন্তানদের সঙ্গে তাদের মাকে ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ করে দেবেন।

রায়ে আদালত আরও বলেছে, বাংলাদেশে আসা-যাওয়া এবং থাকার খরচ বাবদ ইমরান শরীফ আগামী সাত দিনের মধ্যে এরিকো নাকানোকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। প্রতি তিন মাস পর পর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বিষয়টি তদারকি করতে বলা হয়েছে।

আদালতে শিশুদের বাবার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম ও ফাইজা মেহরিন। অন্যদিকে জাপানি মায়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে আদালতে শুনানিতে বাবার পক্ষের আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গে যেতে চায় না, বাবার সঙ্গে থাকতে চায়। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশের স্কুলে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেছে। সেখানে ফেরত গেলে জাপানি আইন অনুযায়ী বাবার জন্য ক্ষতির কারণ হবে।

শিশির মনির বলেন, শিশুদের বিষয়ে জাপানি আদালতের রায় আছে। সবারই উচিত রায়ের প্রতি সম্মান দেখান। জাপান গিয়ে শিশুদের লেখাপড়াসহ সবকিছু করা দরকার। এটাই তাদের জন্য কল্যাণকর। এ জন্য শিশুরা মার সঙ্গে বা বাবা-মা দু’জনের সঙ্গেও জাপান যেতে পারে। আর এক দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে সেটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে।

শিশির মনির বলেন, শিশুদের বাবা কোন মতেই জাপান ফিরে যেতে চান না। মা বাংলাদেশে এসে থাকলে রাজি আছেন। পরে অন্য কোন দেশে স্থায়ী হতে চান। জাপানে শিশুদের বেড়ে ওঠা। বাচ্চাদের বড় হতে দেন। জাপানি আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর তারা যেখানে খুশি থাকবে।

ফিদা এম কামাল বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশের নি¤œ আদালতে বিচারাধীন। তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসুক। সমঝোতা করতে চাইলে দু’পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা আছে। জাপানের বাড়ি শিশুদের মা আর নানার নামে। সেখানে বাবার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ভাড়া নেয়া হতো। তিনি দিতে না পারলে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। জাপানের আদালতে অন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য করা হয়। জাপানে এর সমাধান হবে না। বাচ্চাদের তো তাদের বাবা নিয়ে এসেছেন। আর তাদের মাকে তো অস্বীকার করা হচ্ছে না। মা চাইলে এখানে মাঝে মধ্যে আসতে পারেন।

ফিদা এম কামাল বলেন, মা বাচ্চাদের সময় দিতেন না। মা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আর শিশুরাও বাবার সঙ্গেই চলে এসেছে।

এর আগে দুই মেয়েকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১৯ আগস্ট রিট করেন জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এরপর জাপানি দুই শিশু এবং তাদের বাবা ইমরান শরীফকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই শিশুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। ২২ আগস্ট দুই শিশুকে হেফাজতে নেয় সিআইডি। বিষয়টি ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের নজরে আনেন তাদের বাবার আইনজীবী ফাওজিয়া করিম।

এরপর আদালত শিশুদের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেয়। এ সময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জাপানি মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশি বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলে আদেশে বলা হয়।

৩১ আগস্ট হাইকোর্ট বাবা-মাসহ ২ শিশুকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় থাকার আদেশ দেয়। এক্ষেত্রে ভাড়া ভাগ করে নেয়ার নির্দেশ দেয়। ওই আদেশে বলা হয়, দুই শিশুকে নিয়ে বেড়ানো বা মার্কেটে যাওয়ার জন্য বাইরে যেতে পারবেন মা নাকানো এরিকো। ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশে বলেন, মা নাকানো এরিকো রাতসহ ২৪ ঘণ্টা থাকবেন। বাবা ইমরান শরীফ শুধু দিনের বেলা সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তারপর থেকে এভাবেই বসবাস করছেন তারা।

২০০৮ সালে জাপানের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিয়ের পর টোকিওতে বসবাস শুরু করেন শরীফ ইমরান ও চিকিৎসক নাকানো এরিকো। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারা তিনজনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ও এরিকোর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। পরে শরীফ দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর দুই সন্তানকে নিজ জিম্মায় ফেরত পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এরিকো।

সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

হাইকোর্টের রায়

বাবার জিম্মায় থাকবে দুই শিশু, দেখা করতে পারবেন মা

আদালত বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই শিশুকন্যাকে (জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা) বাবার জিম্মায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে জাপানে থাকা তৃতীয় সন্তানকে বাংলাদেশে আনাতে ইমরান শরীফের করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। দুই দেশের দু’জন নাগরিকের সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে এটাই প্রথম রায়।

আদেশে বলা হয়েছে, আমরা শিশুদের সঙ্গে চারবার খাস কামরায় কথা বলেছি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলা এবং আইনজীবীদের মতামত গ্রহণ করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। শিশুদের সর্বোচ্চ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই আদেশ দেয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়, মা দেখা-সাক্ষাৎ ও একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। যেহেতু এরিকো নাকানো জাপানি নাগরিক এবং সেখানে কর্মরত, তাই তিনি প্রতি তিন মাস পরপর বাংলাদেশে এসে কমপক্ষে দশ দিন সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। আর বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া-আসাসহ সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে। তবে অতিরিক্ত সময় যাওয়া-আসা করলে তা মাকেই বহন করতে হবে। এছাড়া ইমরান শরীফ মাসে কমপক্ষে দু’বার ছুটির দিন সন্তানদের সঙ্গে তাদের মাকে ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ করে দেবেন।

রায়ে আদালত আরও বলেছে, বাংলাদেশে আসা-যাওয়া এবং থাকার খরচ বাবদ ইমরান শরীফ আগামী সাত দিনের মধ্যে এরিকো নাকানোকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। প্রতি তিন মাস পর পর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বিষয়টি তদারকি করতে বলা হয়েছে।

আদালতে শিশুদের বাবার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম ও ফাইজা মেহরিন। অন্যদিকে জাপানি মায়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে আদালতে শুনানিতে বাবার পক্ষের আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গে যেতে চায় না, বাবার সঙ্গে থাকতে চায়। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশের স্কুলে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেছে। সেখানে ফেরত গেলে জাপানি আইন অনুযায়ী বাবার জন্য ক্ষতির কারণ হবে।

শিশির মনির বলেন, শিশুদের বিষয়ে জাপানি আদালতের রায় আছে। সবারই উচিত রায়ের প্রতি সম্মান দেখান। জাপান গিয়ে শিশুদের লেখাপড়াসহ সবকিছু করা দরকার। এটাই তাদের জন্য কল্যাণকর। এ জন্য শিশুরা মার সঙ্গে বা বাবা-মা দু’জনের সঙ্গেও জাপান যেতে পারে। আর এক দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে সেটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে।

শিশির মনির বলেন, শিশুদের বাবা কোন মতেই জাপান ফিরে যেতে চান না। মা বাংলাদেশে এসে থাকলে রাজি আছেন। পরে অন্য কোন দেশে স্থায়ী হতে চান। জাপানে শিশুদের বেড়ে ওঠা। বাচ্চাদের বড় হতে দেন। জাপানি আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর তারা যেখানে খুশি থাকবে।

ফিদা এম কামাল বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশের নি¤œ আদালতে বিচারাধীন। তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসুক। সমঝোতা করতে চাইলে দু’পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা আছে। জাপানের বাড়ি শিশুদের মা আর নানার নামে। সেখানে বাবার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ভাড়া নেয়া হতো। তিনি দিতে না পারলে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। জাপানের আদালতে অন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য করা হয়। জাপানে এর সমাধান হবে না। বাচ্চাদের তো তাদের বাবা নিয়ে এসেছেন। আর তাদের মাকে তো অস্বীকার করা হচ্ছে না। মা চাইলে এখানে মাঝে মধ্যে আসতে পারেন।

ফিদা এম কামাল বলেন, মা বাচ্চাদের সময় দিতেন না। মা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আর শিশুরাও বাবার সঙ্গেই চলে এসেছে।

এর আগে দুই মেয়েকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১৯ আগস্ট রিট করেন জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এরপর জাপানি দুই শিশু এবং তাদের বাবা ইমরান শরীফকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই শিশুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। ২২ আগস্ট দুই শিশুকে হেফাজতে নেয় সিআইডি। বিষয়টি ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের নজরে আনেন তাদের বাবার আইনজীবী ফাওজিয়া করিম।

এরপর আদালত শিশুদের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেয়। এ সময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জাপানি মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশি বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলে আদেশে বলা হয়।

৩১ আগস্ট হাইকোর্ট বাবা-মাসহ ২ শিশুকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় থাকার আদেশ দেয়। এক্ষেত্রে ভাড়া ভাগ করে নেয়ার নির্দেশ দেয়। ওই আদেশে বলা হয়, দুই শিশুকে নিয়ে বেড়ানো বা মার্কেটে যাওয়ার জন্য বাইরে যেতে পারবেন মা নাকানো এরিকো। ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশে বলেন, মা নাকানো এরিকো রাতসহ ২৪ ঘণ্টা থাকবেন। বাবা ইমরান শরীফ শুধু দিনের বেলা সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তারপর থেকে এভাবেই বসবাস করছেন তারা।

২০০৮ সালে জাপানের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিয়ের পর টোকিওতে বসবাস শুরু করেন শরীফ ইমরান ও চিকিৎসক নাকানো এরিকো। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারা তিনজনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ও এরিকোর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। পরে শরীফ দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর দুই সন্তানকে নিজ জিম্মায় ফেরত পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এরিকো।