ভেনেজুয়েলায় ফের মাদুুরোর দলের বাজিমাত

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে বড় ধরনের সফলতা পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন নিকোলাস মাদুরোর বামপন্থি সরকার। দেশজুড়ে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাদুরোর সমাজতান্ত্রিক দল ২০টি গর্ভনর পদে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছেন বিরোধী রাজনীতিকরা। ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে এই চিত্র উঠে আসে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এদিকে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের ফলাফল ঘোষণার পরপরই সরকার ও দলের বিজয় উদযাপনে মাতেন দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সমর্থক পরিবেষ্টিত অবস্থায় তিনি বলেন, এ বিজয় আনন্দের। এটা অবশ্যই উদযাপন করা হবে। অন্যদিকে স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে ভরাডুবির ফলাফলের পর কার্যত আরও পেছনের দিকে চলে গেছে বিরোধী দলগুলো। একইসঙ্গে বিপর্যয়কর এই ফলাফল দেশটির বিরোধী নেতাদের জন্য বেশ বড় ধাক্কা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন অভিযোগে বিরোধী দল ও নেতারা ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ২০২০ সালের কংগ্রেশনাল নির্বাচন বয়কট করেছিলেন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল ভোট জালিয়াতি এবং মাদুরোর প্রতি অনুগত সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দেশে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। এরপর চলতি বছর তারা আবারও নির্বাচনী ট্র্যাকে ফিরে আসেন এবং সর্বশেষ স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নেন। রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর অনেকটা হতাশ হয়েই চলতি বছর দেশজুড়ে স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী দলগুলো।

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভেনেজুয়েলায় ফের মাদুুরোর দলের বাজিমাত

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে বড় ধরনের সফলতা পেয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন নিকোলাস মাদুরোর বামপন্থি সরকার। দেশজুড়ে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাদুরোর সমাজতান্ত্রিক দল ২০টি গর্ভনর পদে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছেন বিরোধী রাজনীতিকরা। ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে এই চিত্র উঠে আসে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এদিকে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের ফলাফল ঘোষণার পরপরই সরকার ও দলের বিজয় উদযাপনে মাতেন দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সমর্থক পরিবেষ্টিত অবস্থায় তিনি বলেন, এ বিজয় আনন্দের। এটা অবশ্যই উদযাপন করা হবে। অন্যদিকে স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে ভরাডুবির ফলাফলের পর কার্যত আরও পেছনের দিকে চলে গেছে বিরোধী দলগুলো। একইসঙ্গে বিপর্যয়কর এই ফলাফল দেশটির বিরোধী নেতাদের জন্য বেশ বড় ধাক্কা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন অভিযোগে বিরোধী দল ও নেতারা ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ২০২০ সালের কংগ্রেশনাল নির্বাচন বয়কট করেছিলেন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল ভোট জালিয়াতি এবং মাদুরোর প্রতি অনুগত সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দেশে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। এরপর চলতি বছর তারা আবারও নির্বাচনী ট্র্যাকে ফিরে আসেন এবং সর্বশেষ স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নেন। রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর অনেকটা হতাশ হয়েই চলতি বছর দেশজুড়ে স্থানীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী দলগুলো।