এসএসসি পরীক্ষার্থী, লিখছে দু’হাতের কব্জি দিয়ে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দুই হাতের কব্জি দিয়ে লিখে চলতি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী মোবারক আলী। দুটি হাতের আঙুল না থাকলেও সুস্থ স্বাভাবিক শিক্ষার্থীর মতোই কব্জি দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে মোবারক। তার হাতের লেখা অনেক সুন্দর।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মোবারক আলী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের দিনমজুর এনামুল হকের ছেলে। জন্মের পর থেকে এভাবেই সে বড় হয়ে উঠে। তার দুটো হাত অচল হলেও অদম্য ইচ্ছায় লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে সে। মোবারক ২০১৮ সালে কাশিপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় (পাইলট) এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে সে। তার রোল নম্বর ২১৫৭৭৩। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়তি সময় লাগে না তার। অন্য শিক্ষার্থীদের মতোই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সে।
মোবারক আলী জানায়, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভালো রেজাল্ট করে বাবা-মাসহ শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।
মোবারক সম্পর্কে কাশিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জায়দুল হক জানান, মোবারক শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও যথেষ্ট মেধাবী এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও সমান দক্ষতা তার। আমি আশা করছি সে ভালো ফলাফল করে তার বাবা-মা ও এলাকাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করবে।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় (পাইলট) এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব গোলাম কিবরিয়া জানান, মোবারক অন্য শিক্ষার্থীদের মতোই প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আমরা তাকে বাড়তি সময় দিচ্ছি।
মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৩
এসএসসি পরীক্ষার্থী, লিখছে দু’হাতের কব্জি দিয়ে
হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম থেকে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দুই হাতের কব্জি দিয়ে লিখে চলতি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী মোবারক আলী। দুটি হাতের আঙুল না থাকলেও সুস্থ স্বাভাবিক শিক্ষার্থীর মতোই কব্জি দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে মোবারক। তার হাতের লেখা অনেক সুন্দর।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মোবারক আলী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের দিনমজুর এনামুল হকের ছেলে। জন্মের পর থেকে এভাবেই সে বড় হয়ে উঠে। তার দুটো হাত অচল হলেও অদম্য ইচ্ছায় লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে সে। মোবারক ২০১৮ সালে কাশিপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও কঠোর পরিশ্রম করে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় (পাইলট) এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে সে। তার রোল নম্বর ২১৫৭৭৩। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়তি সময় লাগে না তার। অন্য শিক্ষার্থীদের মতোই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সে।
মোবারক আলী জানায়, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভালো রেজাল্ট করে বাবা-মাসহ শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।
মোবারক সম্পর্কে কাশিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জায়দুল হক জানান, মোবারক শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও যথেষ্ট মেধাবী এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও সমান দক্ষতা তার। আমি আশা করছি সে ভালো ফলাফল করে তার বাবা-মা ও এলাকাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করবে।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় (পাইলট) এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব গোলাম কিবরিয়া জানান, মোবারক অন্য শিক্ষার্থীদের মতোই প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আমরা তাকে বাড়তি সময় দিচ্ছি।