১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আগামীকাল মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে। প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবদুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষ হয়। মোমিন তালুকদার (৬৯) পলাতক। তার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলছে।
২০১৮ সালের ৩ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবদুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনকে হত্যা ও গণহত্যা ও ১৯টি বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংসেরও অভিযোগ রয়েছে।
তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুসলিম লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ছিলেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালে বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদিঘি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৩
আদালত বার্তা পরিবেশক
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আগামীকাল মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে। প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবদুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষ হয়। মোমিন তালুকদার (৬৯) পলাতক। তার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলছে।
২০১৮ সালের ৩ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবদুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনকে হত্যা ও গণহত্যা ও ১৯টি বাড়ি অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংসেরও অভিযোগ রয়েছে।
তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুসলিম লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ছিলেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালে বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদিঘি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।