থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারে উদ্যোগ নেবে থাই দূতাবাস : রাষ্ট্রদূত

থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

তবে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার পর, বিশ্ববাজারে বেশকিছু বাজার সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই ২০২৬ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ বা পিটিএ অপরিহার্য হবে। তবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার আগে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরেই থাইল্যান্ডের অনুকূলে রয়েছে। এ সময় তিনি থাই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে, কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে থাই বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। একই সঙ্গে চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, অনেক দেশই তাদের নিজেদের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়েছে।

বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচারে উদ্যোগ নেবে থাই দূতাবাস : রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

তবে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার পর, বিশ্ববাজারে বেশকিছু বাজার সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই ২০২৬ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ বা পিটিএ অপরিহার্য হবে। তবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার আগে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরেই থাইল্যান্ডের অনুকূলে রয়েছে। এ সময় তিনি থাই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে, কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে থাই বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। একই সঙ্গে চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, অনেক দেশই তাদের নিজেদের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়েছে।