১০০ দূষিত শহরের ৯৪টিই ভারত, চীন ও পাকিস্তানের

বিশ্বের ১০০ দূষিত শহরের মধ্যে তিন দেশেই রয়েছে ৯৪টি। এরমধ্যে ৪৬টিই ভারতে, চীনে ৪২টি ও পাকিস্তানে ৬টি, ইন্দোনেশিয়ায় ও থাইল্যান্ডে রয়েছে একটি করে। এই শহরগুলোতে বাতাসে ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫-এর মাত্রা ৫০-এর বেশি।

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই ভারতের। পশ্চিম চীনের জিনজিয়াংয়ের হোতান এলাকায় বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ ছিল ২০২০ সালে। বাতাস কতটা দূষিত তা মূলত পরিমাপ করা হয় পিএম২.৫, পিএম১০, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা দ্বারা। এসব ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বাতাসে যত বেশি হবে দূষণের মাত্রা তত বাড়বে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পিএম গঠিত হয় ক্ষুদ্র কণার দ্বারা যা স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাতাসের ক্ষতিকর কণা বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর আকার হলো পিএম২.৫ ও পিএম১০। পিএম২.৫-এর মাত্রা ১২ এর নিচে হলে মানুষের জন্য ভালো। তবে এর মাত্রা বা পরিমাণ ৫৫ থেকে ১৫০ হলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই মাত্রা যদি ২৫০ অথবা তার বেশি হয় তবে তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক।

দিল্লির বাতাসে ২.৫-এর যে মাত্রা তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রার থেকে ৩৪ গুণ বেশি। যা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দিল্লিতে শীতকালে বিষাক্ত ধোঁয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায় যখন কৃষকরা শস্য কাটার পর তার অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেয়। তাছাড়া যানবাহনের নির্গমন, শিল্প ও আবর্জনা পোড়ানোর ফলে বাতাসের ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫ মাত্রা বাড়ায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ুদূষণের ফলে ৭০ লাখ মানুষ মারা যান। যেসব এলাকায় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেশি সেখানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। বায়ু দূষণ হাঁপানি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বেশ কয়েকটি অসুস্থতার জন্য দায়ী।

বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

১০০ দূষিত শহরের ৯৪টিই ভারত, চীন ও পাকিস্তানের

বিশ্বের ১০০ দূষিত শহরের মধ্যে তিন দেশেই রয়েছে ৯৪টি। এরমধ্যে ৪৬টিই ভারতে, চীনে ৪২টি ও পাকিস্তানে ৬টি, ইন্দোনেশিয়ায় ও থাইল্যান্ডে রয়েছে একটি করে। এই শহরগুলোতে বাতাসে ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫-এর মাত্রা ৫০-এর বেশি।

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই ভারতের। পশ্চিম চীনের জিনজিয়াংয়ের হোতান এলাকায় বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ ছিল ২০২০ সালে। বাতাস কতটা দূষিত তা মূলত পরিমাপ করা হয় পিএম২.৫, পিএম১০, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা দ্বারা। এসব ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বাতাসে যত বেশি হবে দূষণের মাত্রা তত বাড়বে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পিএম গঠিত হয় ক্ষুদ্র কণার দ্বারা যা স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাতাসের ক্ষতিকর কণা বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর আকার হলো পিএম২.৫ ও পিএম১০। পিএম২.৫-এর মাত্রা ১২ এর নিচে হলে মানুষের জন্য ভালো। তবে এর মাত্রা বা পরিমাণ ৫৫ থেকে ১৫০ হলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই মাত্রা যদি ২৫০ অথবা তার বেশি হয় তবে তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক।

দিল্লির বাতাসে ২.৫-এর যে মাত্রা তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রার থেকে ৩৪ গুণ বেশি। যা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দিল্লিতে শীতকালে বিষাক্ত ধোঁয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায় যখন কৃষকরা শস্য কাটার পর তার অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেয়। তাছাড়া যানবাহনের নির্গমন, শিল্প ও আবর্জনা পোড়ানোর ফলে বাতাসের ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫ মাত্রা বাড়ায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ুদূষণের ফলে ৭০ লাখ মানুষ মারা যান। যেসব এলাকায় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেশি সেখানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। বায়ু দূষণ হাঁপানি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বেশ কয়েকটি অসুস্থতার জন্য দায়ী।