ভারতে বন্যায় মৃত বেড়ে ৩৪

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বর্ষণের জেরে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এছাড়া রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের জেরে গত শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের তিন জেলা এবং একটি উপকূলীয় জেলায় ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়, যার জেরে সৃষ্টি হয় বন্যার। তাতেই নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু মানুষ। এছাড়া বৃষ্টি ও বন্যার কারণে চেয়ুরু নদীর পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অন্ধ্রপ্রদেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া রাজ্যটিতে এখনও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত সবার পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের জেরে দক্ষিণ ভারতের আরও তিনটি রাজ্য কর্নাটক, তামিলনাড়– এবং কেরালায়ও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবল এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ২৪ ও ২৫ নভেম্বর তামিলনাড়–, পদুচেরি এবং কারাইকাল এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে পুরো অন্ধ্রপ্রদেশজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং তার জেরে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা ১৪০ বছরের বন্যার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অর্থাৎ ১৪০ বছরে এটিই অন্ধ্রপ্রদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। প্রবল বৃষ্টির জেরে পেন্না নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় অন্ধপ্রদেশের নেল্লোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির জেরে গত সপ্তাহ থেকেই তিরুভালোøুর, চেঙ্গলপট্টু, নেল্লোর এবং কাঞ্চিপুরমের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক জেলায় সরকারি-বেসরকারি একাধিক অফিস বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে তামিলনাড়– ও পুদুচেরিতে ইতোমধ্যেই বন্যা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভারতে বন্যায় মৃত বেড়ে ৩৪

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বর্ষণের জেরে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এছাড়া রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের জেরে গত শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের তিন জেলা এবং একটি উপকূলীয় জেলায় ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়, যার জেরে সৃষ্টি হয় বন্যার। তাতেই নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু মানুষ। এছাড়া বৃষ্টি ও বন্যার কারণে চেয়ুরু নদীর পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অন্ধ্রপ্রদেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া রাজ্যটিতে এখনও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত সবার পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের জেরে দক্ষিণ ভারতের আরও তিনটি রাজ্য কর্নাটক, তামিলনাড়– এবং কেরালায়ও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবল এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ২৪ ও ২৫ নভেম্বর তামিলনাড়–, পদুচেরি এবং কারাইকাল এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে পুরো অন্ধ্রপ্রদেশজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং তার জেরে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা ১৪০ বছরের বন্যার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অর্থাৎ ১৪০ বছরে এটিই অন্ধ্রপ্রদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। প্রবল বৃষ্টির জেরে পেন্না নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় অন্ধপ্রদেশের নেল্লোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির জেরে গত সপ্তাহ থেকেই তিরুভালোøুর, চেঙ্গলপট্টু, নেল্লোর এবং কাঞ্চিপুরমের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক জেলায় সরকারি-বেসরকারি একাধিক অফিস বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে তামিলনাড়– ও পুদুচেরিতে ইতোমধ্যেই বন্যা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।