ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দায় স্বীকার

নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে গাড়ি চাপা দিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে রাসেল খানকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়া তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৫ নভেম্বর রাসেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৭ নভেম্বর গাড়ি চালক হারুন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোল চত্বরের দক্ষিণ পাশে নাঈম হাসান রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-শ-১১-১২৪৪) বেপরোয়া গতিতে নাঈমকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় গাড়িচালক ছিলেন রাসেল খান। এরপর নাঈমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে দুপুর পৌনে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার টহল পুলিশ ও পথচারীরা ময়লার গাড়িচালক রাসেল খান ও গাড়ির ভেতরে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাম রব্বানী এবং বেলালকে আটক করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় ও ময়লার গাড়ি জব্দ করে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রাসেল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত চালক নয়। গাড়িটির নিয়োগপ্রাপ্ত চালক হারুন রাসেল খানকে বদলি হিসেবে চালাতে দেন। গ্রেপ্তার চালক রাসেল খান ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা শাহ আলম দেওয়ান পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

আরও খবর

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

গাড়ি চাপায় নটর ডেম ছাত্রের মৃত্যু

ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দায় স্বীকার

আদালত বার্তা পরিবেশক

নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে গাড়ি চাপা দিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে রাসেল খানকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়া তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৫ নভেম্বর রাসেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৭ নভেম্বর গাড়ি চালক হারুন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোল চত্বরের দক্ষিণ পাশে নাঈম হাসান রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-শ-১১-১২৪৪) বেপরোয়া গতিতে নাঈমকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় গাড়িচালক ছিলেন রাসেল খান। এরপর নাঈমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে দুপুর পৌনে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার টহল পুলিশ ও পথচারীরা ময়লার গাড়িচালক রাসেল খান ও গাড়ির ভেতরে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাম রব্বানী এবং বেলালকে আটক করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় ও ময়লার গাড়ি জব্দ করে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রাসেল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত চালক নয়। গাড়িটির নিয়োগপ্রাপ্ত চালক হারুন রাসেল খানকে বদলি হিসেবে চালাতে দেন। গ্রেপ্তার চালক রাসেল খান ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা শাহ আলম দেওয়ান পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।