প্রস্তাবিত বাজেটে নেগেটিভ কিছু নেই

কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে নেগেটিভ বিষয় বলে কিছু নেই। এটা জনবান্ধব পজিটিভ দলিল। অনন্য সাধারণ দলিল। বিএনপি এ বাজেটের বিরোধিতা করবে- এটা তাদের আওয়ামী বিরোধী, শেখ হাসিনা বিরোধী মনোভাবের পরিচায়ক। গত ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে, বিরোধিতা করে আসছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি প্রমুখ।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে সব সময়ই চ্যালেঞ্জ থাকে। এবারও আমরা সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং বাজেট বাস্তবায়নে সচেষ্ট আছি।’ মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখনই বাজেট ঘোষণা হয় তখনই তারা বাজেটের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথাবার্তা বলেন। কিন্তু সরকার সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করে দেশতে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি (ফখরুল) নির্বাচন করে জয়ী হলেন, কিন্তু সংসদে যোগ দিলেন না। এটা তার নেগেটিভ রাজনীতির পরিচায়ক। শুধু ঢালাওভাবে বাজেটের বিরোধিতা করলে চলবে না। যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলতে হবে। মনগড়া ব্যাখ্যা দিলে আমরা সেটা মানব না। সব মহল বাজেট গ্রহণ করে যখন সাধুবাদ জানাচ্ছে তখন বিএনপি বিরোধিতা করছে।

লিখিত বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা জনকল্যাণমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ ও নব উদ্যোগ সৃষ্টিকারী বাজেট। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে যারা এক বছরের বাজটকে তুলনা করছেন তারা ভুল করছেন, ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এমন কথা ছড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সুদূরপ্রসারী। নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ এমনকি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সালের কেমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই সে পরিকল্পনার কথাও আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন শক্তিশালী দেশ। এবারের বাজেটও টেকসই অর্থনীতির ভীত রচনার বাজেট।

এদিকে গতকাল বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের এক বিশেষ সাংগঠনিক সভায় আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা বাজেট নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, সরকারকে বিপাকে ফেলতে চায়। বাজেট তাদের কাছে নতুন ইস্যু। তারা বাজেটের সমালোচনা করছে। তাই সমালোচকদের জবাব দিতে নেতাকর্মীদের বাজেটের গভীরে যাওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।

রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯ , ২ আষাঢ় ১৪২৫, ১২ শাওয়াল ১৪৪০

প্রস্তাবিত বাজেটে নেগেটিভ কিছু নেই

কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে নেগেটিভ বিষয় বলে কিছু নেই। এটা জনবান্ধব পজিটিভ দলিল। অনন্য সাধারণ দলিল। বিএনপি এ বাজেটের বিরোধিতা করবে- এটা তাদের আওয়ামী বিরোধী, শেখ হাসিনা বিরোধী মনোভাবের পরিচায়ক। গত ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে, বিরোধিতা করে আসছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি প্রমুখ।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে সব সময়ই চ্যালেঞ্জ থাকে। এবারও আমরা সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং বাজেট বাস্তবায়নে সচেষ্ট আছি।’ মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যখনই বাজেট ঘোষণা হয় তখনই তারা বাজেটের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথাবার্তা বলেন। কিন্তু সরকার সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করে দেশতে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি (ফখরুল) নির্বাচন করে জয়ী হলেন, কিন্তু সংসদে যোগ দিলেন না। এটা তার নেগেটিভ রাজনীতির পরিচায়ক। শুধু ঢালাওভাবে বাজেটের বিরোধিতা করলে চলবে না। যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলতে হবে। মনগড়া ব্যাখ্যা দিলে আমরা সেটা মানব না। সব মহল বাজেট গ্রহণ করে যখন সাধুবাদ জানাচ্ছে তখন বিএনপি বিরোধিতা করছে।

লিখিত বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা জনকল্যাণমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ ও নব উদ্যোগ সৃষ্টিকারী বাজেট। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে যারা এক বছরের বাজটকে তুলনা করছেন তারা ভুল করছেন, ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এমন কথা ছড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সুদূরপ্রসারী। নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ এমনকি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সালের কেমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই সে পরিকল্পনার কথাও আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন শক্তিশালী দেশ। এবারের বাজেটও টেকসই অর্থনীতির ভীত রচনার বাজেট।

এদিকে গতকাল বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের এক বিশেষ সাংগঠনিক সভায় আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা বাজেট নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, সরকারকে বিপাকে ফেলতে চায়। বাজেট তাদের কাছে নতুন ইস্যু। তারা বাজেটের সমালোচনা করছে। তাই সমালোচকদের জবাব দিতে নেতাকর্মীদের বাজেটের গভীরে যাওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।