নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলীতে ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা ইটভাটা ও ডক ইয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দুটি ভেকু দিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়য়ণগঞ্জ অফিসের যুগ্মপরিচালক গুলজার আলী, উপ-পরিচালক শহিদুল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক শহিদুল্লাহ জানান, গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বক্তাবলী ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি ডক ইয়ার্ডের একাংশ, একটি পাকা টিনশেড ভবন এবং চারটি ইটভাটার দখলে থাকা প্রায় দেড় একর ভূমির নদীর জায়গা ভেকু দিয়ে মাটি কেটে উদ্ধার করে নদীর সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর দখল করে যে ইটভাটা নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করেছে সেগুলো ভেকু দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীতে উচ্ছেদ অভিযান চালার পর ধলেশ্বরী নদীতে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ছয়দিন এই নদীর দুইতীরে দখল করে গড়ে উঠা ইটভাটা ও ডক ইয়ার্ডসহ যেসব স্থাপনা রয়েছে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, একদিকে নদী ভরাট করে ফেলার কারণে নদী নাব্যতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে নদীর তীরের সঙ্গে ইটভাটার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ফেরিঘাট সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি ইটভাটা ও বেশ কয়েকটি ডক ইয়ার্ডসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীর সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে বাঁশের আড়তগাড়া গেঁথে মাটি ভরাট করে নদী দখল করেছে। একদিকে জলাধার সংলগ্ন কোন ইটভাটা করার নিয়ম নেই। কিন্তু ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে অসংখ্য ইটভাটা গড়ে উঠেছে। নদী ও পরিবেশ দূষণকারী এসব অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, রোববার দুপুর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটটি ইটভাটার দখলে থাকা প্রায় দেড় একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি পাকা স্থাপনা ও একটি ডক ইয়ার্ডের আংশিক উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব স্থাপনায় আগামী ছয় থেকে আটদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সাবিক হোসেন নামের দখলদার নদীর তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উচ্ছেদের আগে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে এবং মালামাল সরানোর সময় না দিয়ে তাদের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ , ৩ আষাঢ় ১৪২৫, ১৩ শাওয়াল ১৪৪০
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলীতে ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা ইটভাটা ও ডক ইয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দুটি ভেকু দিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়য়ণগঞ্জ অফিসের যুগ্মপরিচালক গুলজার আলী, উপ-পরিচালক শহিদুল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক শহিদুল্লাহ জানান, গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বক্তাবলী ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি ডক ইয়ার্ডের একাংশ, একটি পাকা টিনশেড ভবন এবং চারটি ইটভাটার দখলে থাকা প্রায় দেড় একর ভূমির নদীর জায়গা ভেকু দিয়ে মাটি কেটে উদ্ধার করে নদীর সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর দখল করে যে ইটভাটা নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করেছে সেগুলো ভেকু দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীতে উচ্ছেদ অভিযান চালার পর ধলেশ্বরী নদীতে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ছয়দিন এই নদীর দুইতীরে দখল করে গড়ে উঠা ইটভাটা ও ডক ইয়ার্ডসহ যেসব স্থাপনা রয়েছে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, একদিকে নদী ভরাট করে ফেলার কারণে নদী নাব্যতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে নদীর তীরের সঙ্গে ইটভাটার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ফেরিঘাট সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি ইটভাটা ও বেশ কয়েকটি ডক ইয়ার্ডসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীর সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে বাঁশের আড়তগাড়া গেঁথে মাটি ভরাট করে নদী দখল করেছে। একদিকে জলাধার সংলগ্ন কোন ইটভাটা করার নিয়ম নেই। কিন্তু ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে অসংখ্য ইটভাটা গড়ে উঠেছে। নদী ও পরিবেশ দূষণকারী এসব অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, রোববার দুপুর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটটি ইটভাটার দখলে থাকা প্রায় দেড় একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি পাকা স্থাপনা ও একটি ডক ইয়ার্ডের আংশিক উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব স্থাপনায় আগামী ছয় থেকে আটদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সাবিক হোসেন নামের দখলদার নদীর তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উচ্ছেদের আগে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে এবং মালামাল সরানোর সময় না দিয়ে তাদের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।