সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

ফখরুল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নতুন দুজন সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা দলের পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নবনির্বাচিত দুজন সদস্যকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসেছিলাম শ্রদ্ধা জানাতে। এখানে এসে আমরা নতুন করে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শপথ নিয়েছি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অতি দ্রুত নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।

কাউন্সিলের দীর্ঘদিন পর দুজন নেতাকে স্থায়ী কমিটিতে স্থান দেয়ার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল যে চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রয়োজন হলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য কিংবা দলের অন্য সদস্য মনোনয়ন দিতে পারবেন এবং নির্বাচিত করতে পারবেন। সেই ক্ষমতা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের দেয়া আছে। এরই ধারাবাহিকতায় দলের স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলোয় দুজন প্রবীণ নেতা, যারা দীর্ঘকাল ধরে দলের মধ্যে অবদান রেখেছেন, তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, জনগণের মধ্যে তাদের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে, তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

স্থায়ী কমিটিতে আরও তিনটি শূন্য পদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সেগুলোতেও যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য ইতোমধ্যে দলীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আজকে বড় চ্যালেঞ্জ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আমরা স্থায়ী কমিটিতে এমন কিছু কৌশল নির্ধারণ করব, যাতে আমাদের দলটা সুসংগঠিত থাকে, ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং দেশনেত্রীকে অবিলম্বে মুক্ত করে আনতে পারি।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকালে এই পদে এসেছি। আমাদের চেয়ারপারসন বিনা কারণে জেলে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনা কারণে দেশের বাইরে। আমাদের যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে, সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যেন আন্দোলন শুরু করতে পারি, সে চেষ্টা করব।

রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯ , ৯ আষাঢ় ১৪২৫, ১৯ শাওয়াল ১৪৪০

সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নতুন দুজন সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা দলের পক্ষ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নবনির্বাচিত দুজন সদস্যকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসেছিলাম শ্রদ্ধা জানাতে। এখানে এসে আমরা নতুন করে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শপথ নিয়েছি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অতি দ্রুত নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।

কাউন্সিলের দীর্ঘদিন পর দুজন নেতাকে স্থায়ী কমিটিতে স্থান দেয়ার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল যে চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রয়োজন হলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য কিংবা দলের অন্য সদস্য মনোনয়ন দিতে পারবেন এবং নির্বাচিত করতে পারবেন। সেই ক্ষমতা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের দেয়া আছে। এরই ধারাবাহিকতায় দলের স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলোয় দুজন প্রবীণ নেতা, যারা দীর্ঘকাল ধরে দলের মধ্যে অবদান রেখেছেন, তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, জনগণের মধ্যে তাদের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে, তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

স্থায়ী কমিটিতে আরও তিনটি শূন্য পদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সেগুলোতেও যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য ইতোমধ্যে দলীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আজকে বড় চ্যালেঞ্জ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আমরা স্থায়ী কমিটিতে এমন কিছু কৌশল নির্ধারণ করব, যাতে আমাদের দলটা সুসংগঠিত থাকে, ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং দেশনেত্রীকে অবিলম্বে মুক্ত করে আনতে পারি।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকালে এই পদে এসেছি। আমাদের চেয়ারপারসন বিনা কারণে জেলে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনা কারণে দেশের বাইরে। আমাদের যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে, সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যেন আন্দোলন শুরু করতে পারি, সে চেষ্টা করব।